প্রিজন কারা কমপ্লেক্সে অ্যাডিশনাল আইজি

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৩ সেপ্টেম্বর   ২০১৬

প্রিজন কারা কমপ্লেক্সে অ্যাডিশনাল আইজি

প্রিজন কারা কমপ্লেক্সে অ্যাডিশনাল আইজি

অ্যাডিশনাল আইজি প্রিজন কর্নেল ইকবাল কবির কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেছেন।

শনিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি কারাগারের মূল ফটক দিয়ে কারা কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদে বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে দেখা করতে বলেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সকাল থেকে কাশিমপুর কারাগার সড়কে কয়েকটি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বৃদ্ধি করা হয়েছে কারারক্ষী ও পুলিশের সংখ্যা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে কাশিমপুর কারাগার সড়কের সংযোগস্থল পর্যন্ত তিনটি স্থানে নতুন করে চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে কারাগার সংশ্লিষ্ট যানবাহন ব্যতীত অন্য যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। র্যা ব সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ওই এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ কাশিমপুর কারাগার এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেমের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসামি রয়েছে। আর এ সব কারণে কারাগার ও আশপাশে নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেছেন, সরকারি আদেশ বাস্তবায়নে কারা কর্তৃপক্ষ সব সময়ই প্রস্তুত আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

এদিকে কারাগার এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকেই কারাগারের বাইরে দেখা গেছে সংবাদকর্মী আর সাধারণ মানুষের ভিড়। সবার নজর এখন কাশিমপুরের দিকে।

কারাবিধি ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে তার সঙ্গে শেষবার দেখা করতে দেওয়া হবে পরিবারের সদস্যদের।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের মজলিসে শুরার সদস্য মীর কাসেমকে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছরের মার্চে আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল থাকায় তিনি রিভিউ আবেদন করেন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ গত ৩০ আগস্ট তার রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে পরদিন সকালে তা আসামিকে পড়ে শোনানো হয়। মীর কাসেম প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার একই প্রশ্ন করা হলে সময় চান তিনি।

পরে কাশিমপুর কারাগার-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক শুক্রবার বিকেলে জানান, মীর কাসেম তাদের জানিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রণভিক্ষা চাইবেন না।

এর পর থেকেই অপেক্ষা কখন মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

 

 

Related posts