ইফতার মাহফিলে ক্ষমতাসীনরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে:বিএনপি

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৪জুন  ২০১৭

ইফতার মাহফিলে ক্ষমতাসীনরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ঃবিএনপি

ইফতার মাহফিলে ক্ষমতাসীনরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে :বিএনপি

সারাদেশে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ক্ষমতাসীনরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কোথাও কোথাও অনুমতি মিলছে না, আবার কোথাও সরকারি দলের সঙ্গে যোগসাজশে পুলিশ চড়াও হচ্ছে। বিরোধী দলকে ধ্বংস করার জন্যই এমনটা করা হচ্ছে।

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, গতকালও (শুক্রবার) কেরানীগঞ্জে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, যা গণমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে। এ ধরনের আক্রমণ বা বাধা প্রদান শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলের ওপর আক্রমণ নয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপরও এ সরকার আক্রমণ করছে। এতে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ হচ্ছে। আমরা সরকারের এহেন প্রতিবন্ধকতা ও আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়িদের শতাধিক বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এর তদন্ত দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, আহমেদ আজম খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, শামসুল আলম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আসাদুল করীম শাহিন, শাম্মী আখতার, যুবদলের মোরতাজুল করীম বাদরু প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বায়তুল আমান জামে মসজিদে ইফতার অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আয়নাল, লেচু ওরফে লেচ্ছা ও জাহের আলীর নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলার ঘটনা তুলে ধরা হয়।

ওই ঘটনার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের কেরানীগঞ্জের বাড়িতে হামলার বিষয়টি উল্লেখ মির্জা ফখরুল বলেন, আমানউল্লাহ আমান একজন প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, ডাকসুর ভিপি ছিলেন। তার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, কোনো দলের রাজনৈতিক নেতা বা কর্মী কেউই এখন নিরাপদ নয়, যখন আমান সাহেবের মতো নেতারাও আজ নিরাপদ থাকছেন না।

‘সরকার ও সরকারি দলের এহেন কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। এ থেকে প্রমাণিত হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংস করছে’ দাবি করেন ফখরুল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য যারা জনপ্রিয় নেতা-নেত্রী আছেন, তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে পুরোপুরি বিরোধী দলকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে চায়। কারণ আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। সেই কারণে তারা হামলার পথ বেছে নিয়েছে।

 

 

Related posts