নার্গিসের চোখ খুলেছে

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৮ অক্টোবর ২০১৬

নার্গিসের চোখ খুলেছে

নার্গিসের চোখ খুলেছে

স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস চোখ খুলেছেন। গতকাল তিনি ডান হাত ও ডান পা নাড়িয়েছেন।
শনিবার বেলা ১টায় স্কয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ড. এ এম রেজাউল সাত্তার। ড. রেজাউস সাত্তারের তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসাধীন খাদিজা।
খাদিজার শারীরিক অবস্থা জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রেজাউস সাত্তার আরো বলেন, মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরও খাদিজা বেগম বেঁচে আছেন, তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো, তা অবশ্যই ভালো। খাদিজা এখনও সংজ্ঞাহীন। তবে তার হাত-পায়ে অনুভূতি রয়েছে।
গত সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রির (পাস) ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম (২৭)।
এই ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
খাদিজার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো জানালেও চিকিৎসক বলছেন, খুব তাড়াতাড়ি তিনি সেরে উঠবেন তা বলা যাবে না।
রেজাউস সাত্তার বলেন, এ ধরনের রোগীদের দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। সংজ্ঞা ফিরে এলে অর্থোপেডিকস চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করবেন। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে অঙ্গহানি বড় বিষয় নয়, বেঁচে থাকাই বড় কথা।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলে একটা কথা আছে। চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। এক্ষেত্রে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তাই ১২/১৩ ঘণ্টা প্যাসেন্ট রিসিভ করলেও খাদিজা বেঁচে আছে।
সারভাইবাল লেভেল আগের চেয়ে বেড়েছে
এ এম রেজাউস সাত্তার আরো বলেন, আগে ‘কনশাস লেভেল ১৫ এর মধ্যে ৬ ছিল, এখন তা ১০-এর মধ্যে ৬। আগে আমরা সন্দিহান ছিলাম খাদিজা বাঁচবে কি না, খুব ন্যারো রাস্তায় চলতে হয়েছে। এখন বলা যায় সারভাইবাল লেভেল আগের চেয়ে বেড়েছে।’

‘এ ধরনের আঘাতের পর রোগী উঠে বসবে কথা বলবে এটি ভাবা ঠিক নয়। আগামী দু-তিন সপ্তাহ পর বলা যাবে তার প্রকৃত শারীরিক অবস্থা। সংজ্ঞা ফিরে এলে আইসিইউ থেকে বেডে নিয়ে আসার চিন্তা করা হবে।

 

Related posts