৭ খুনের মামলার রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রমান হয়েছে

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৬  জানুয়ারি  ২০১৭

 

৭ খুনের মামলার রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রমান হয়েছে

৭ খুনের মামলার রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রমান হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনে মামলার রায় প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ন্যায় বিচার যে হয় সেটাই আজকে ৭ খুনের মামলার রায়ের মাধ্যমে প্রমান হয়েছে।’ একইসঙ্গে এ রায় যাতে উচ্চ আদালতে বহাল থাকে সেই আশাবাদ বক্তব্য করেন তিনি।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে চিত্রশালা মিলানয়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের বর্বরোচিত তাণ্ডব ও অগ্নি সন্ত্রাসের’ খণ্ড চিত্র প্রর্দশনীর আয়োজন করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা পরিষদ।

কাদের বলেন, ‘আপরাধ করে কেউ পার পাবে না। সে যতই শক্তিশালী হোক। অপরাধ করে দায়মুক্তি, বিচারহীনতা সম্ভব নয়।’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের বর্বরোচিত তাণ্ডব ও অগ্নি সন্ত্রাসের’ খণ্ড চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বলেন- ‘সব সমস্যার সমাধান হবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানে যদি সংলাপের কোনো সুযোগ থাকে, তাহলে গণতন্ত্রের জন্য সংলাপ হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন- ‘যারা দুই নেত্রীকে সংলাপে বসাতে চান, তাদেরকে বলবো, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট কিংবা পুত্র শোকে শোকাহত মা খালেদা জিয়াকে সমাবেদনা জানাতে গিয়ে শেখ হাসিনার ফিরে আসা, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার কথা স্মরণ করুন। এখন যে বিষয়ে সংলাপ তা নিয়ে তো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। তাহলে আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিসের সংলাপ।  সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে আগামী নির্বাচন হবে।’

কাদের বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রস্তাব খালেদা জিয়া কি অশ্রাব্য, নোঙরা ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছিল, এটা আমরা ভুলে যায়নি। এখন সংলাপের কথা বলছেন, সেই দিন কেন সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন? এ প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করেছেন।’

পুত্র শোকে শোকাহত মাকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর খালেদা জিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছিলেন।’ ঘরের দরজা বন্ধ করে সংলাপের দরজা বন্ধ করেছিলেন বলে যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

 

৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করেন, তাদের আগুন সন্ত্রাসে পঙ্গু হওয়া মানুষের আহাজারি, আর্তনাদের জবাব দেবে কে? গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য মায়াকান্না করছেন, নাকি গণতন্ত্র হত্যার জন্য মায়াকান্না করছেন?

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সংহিংসতার শিকার মাইসা খাতুনের মা মারুফা বেগম, নায়েক দুদু মিয়া, পিয়ারুল ইসলাম, পটল মিয়া, রেজাউল করিম, মিষ্টি মিয়া ও অমল চন্দ্র রায় তাদের কথা তুলে ধরেন।

 

Related posts