৫৬ জন শিল্প খাতে সিআইপি কার্ড পেলেন

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২০  জানুয়ারি  ২০১৭

৫৬ জন শিল্প খাতে সিআইপি কার্ড পেলেন

৫৬ জন শিল্প খাতে সিআইপি কার্ড পেলেন

শিল্প খাতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন ৫৬ জন ব্যক্তি। বেসরকারিখাতে শিল্প স্থাপন,পণ্য উৎপাদন,কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৫ সালের জন্য তাদের সিআইপি নির্বাচন করা হয়।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন।

২০১৫ সালের জন্য পাঁচ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ৪৯ জন এবং পদাধিকার বলে ৭ জন শিল্প উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠান সিআইপি (শিল্প) পরিচয়পত্র পেয়েছেন।এদের মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ২৫ জন, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ১৫ জন, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৫ জন,মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ২ জন, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ২ জন রয়েছেন।

সিআইপি (শিল্প) পরিচয়পত্রধারীদের অনুকূলে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আজ থেকে আগামী এক বছরের জন্য বহাল থাকবে। এটি বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে। কার্ডধারীরা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। তাঁদের ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার থাকবে। ব্যবসার কাজে বিদেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির জন্য তাঁদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে ‘লেটার অব ইনট্রডাকশন’ দেয়া হবে।তাঁদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার থাকবে। কার্ডধারীরা বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধাও পাবেন।

অনুষ্ঠানে আমির হোসেন আমু বলেন, শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সরকার বিভিন্ন খাতের শিল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গা প্রদান করছে। ইতোমধ্যে ওযুধ শিল্পের জন্য মুন্সিগঞ্জে জায়গা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল ও কেমিক্যাল শিল্পের জন্য মুন্সিগঞ্জে পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে।এর উদ্দেশ্য হলো একীভূত জায়গায় শিল্প কারখানার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে।এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে বলে তিনি জানান।

পরিবেশ দূষণ সুরক্ষায় সাভারে চামড়া শিল্প স্থানান্তর করা হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ মাসের মধ্যেই হাজারীবাগ থেকে সকল কাঁচা চামড়া কারখানা সরিয়ে দেয়া হবে। আগামী মাস থেকে আর কোন কাঁচা চামড়া সেখানে ঢুকবে না। তিনি উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মার্চ মাসের মধ্যে পুরো চামড়া শিল্প সাভারে স্থানান্তরিত করা হবে। চামড়া শিল্প পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব হলে এর রফতানি দ্রুত সম্প্রসারণ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য দেশে শিল্প ও বিনিয়োগ সহায়ক অবকাঠামো নিশ্চিত করার আহবান জানান।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস,সিআইপি (শিল্প) কার্ডপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা রূপালী হক চৌধুরী ও মোঃ আবদুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন।

 

 

Related posts