শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৪ আগস্ট ২০১৬
সুস্থ দেহ ও মনের জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর ও পরিমিত খাদ্যগ্রহণ। সুষম খাদ্য শুধু মানুষকে সুস্থ রাখে না, দেয় দীর্ঘ জীবনও। পুষ্টিহীনতাসহ নানা সমস্যার জন্য তাই প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্য ও নিয়ম করে ব্যায়াম। আর এ জন্য মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
শনিবার সন্ধ্যায় ডায়েট কাউন্সিলিং সেন্টারের ১২ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পুষ্টিবিদরা।
রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ নুরুল আমিন খান মেমোরিয়াল হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশনের মধ্যদিয়ে। তাতে দেখানো হয়, কেউ ওজন বাড়াতে খাচ্ছেন সারাক্ষণ। কেউ আবার ওজন কমাতে খাওয়া ছেড়েছেন। খাবার বাদ দেওয়া বা গ্রহণ নয়, বরং প্রয়োজনমতো যথাযথ খাদ্যাভ্যাসই হল সুস্থ থাকার মূল কথা।
এরপর ছিল আলোচনা পর্ব। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী সৈয়দা শারমিন আক্তার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন পুষ্ঠিবিজ্ঞানী ড. এস কে রায়, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান রশীদুল হাসান, পুষ্ঠি বিশেষজ্ঞ ড. শাহিন আহমেদ।
পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেন, সাধারণত নিরাময়ের তুলনায় প্রতিরোধের ওপর জোর দেই। রোগ প্রতিরোধের জন্য তাই প্রয়োজন চার্ট মেনে খাদ্যগ্রহণ। তাতে থাকতে হবে সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘আমাদের দেশে সুষম খাদ্যের ঐতিহ্য নেই। কিন্তু খাদকের ঐতিহ্য আছে। আমরা খেতে পছন্দ করি। কিন্তু কী খেতে হবে, কতটুকু খেতে হবে- তা জানি না, মানিও না। কিন্তু সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের জন্য সুষম খাদ্য অত্যন্ত জরুরি।’