শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৪ এপ্রিল ২০১৭
টিপাইমুখ বাঁধের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়েও ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে চুক্তি প্রকাশের পর এমন চিন্তা-ভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আহমদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
প্রতিরক্ষা চুক্তি যাতে না করে এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়া যোগাযোগ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়টি নিয়ে এখনো আমরা জানি না। তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসন কীভাবে চিঠি লিখবেন?
আমরা এ চুক্তি সম্পর্কে জানতে চাই। কি ধরনের চুক্তি, কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে এসব বিষয় জানার পরই এ প্রশ্ন উঠতে পারে বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ প্রশ্নে বিএনপি চেয়ারপারসন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতে আমরা এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে চাই এমন কথা বলা হলেও তখন তারা সহযোগিতা করেনি।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরকার প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই তার সফরকালে যেসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার সবকটি জনগণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের মালিক জনগণ। দেশ এবং জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানার ও মতামত প্রকাশের অধিকার তাদের রয়েছে। জনগণকে পাশ কাটিয়ে দেশের স্বার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো চুক্তি অথবা সমঝোতা স্মারক জনগণ মেনে নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আলোচনা চলছে। কিন্তু প্রস্তাবিত চুক্তি সম্পর্কে কোনো কিছুই জানা যায়নি। তবে ভারতের গণমাধ্যম ও বিশিষ্ট কলামিস্টদের লেখা থেকে জানতে পারি কিছু চুক্তি সই হবে। সম্ভাব্য চুক্তিতে কি কি থাকছে তা প্রকাশের জন্য সরকারকে আহ্বান জানান তিনি। তা না হলে দেশের স্বার্থ ও স্বার্বভৌমত্ববিরোধী কোনো ধরনের চুক্তি বা স্মারক জনগণ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ার করেন মির্জা ফখরুল।