বিএনপি-জামায়াত সরকারকে বিব্রত করতেই জঙ্গি তৎপরতায় মদদ দিচ্ছে : হানিফ

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২০  মার্চ  ২০১৭

বিএনপি-জামায়াত সরকারকে বিব্রত করতেই জঙ্গি তৎপরতায় মদদ দিচ্ছে : হানিফ

বিএনপি-জামায়াত সরকারকে বিব্রত করতেই জঙ্গি তৎপরতায় মদদ দিচ্ছে : হানিফ

সরকারকে বিব্রত করতেই সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামায়াত দেশে জঙ্গী তৎপরতায় মদদ দিচ্ছে বলেছেন,  আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ।

তিনি বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের সরকারগুলো জঙ্গিবাদে মদদ দিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্যই বিএনপি-জামাতের মদদে এখনো দেশে জঙ্গি তৎপরতা চলছে। তবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বর্তমান সরকার খুবই কঠোর। দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত করতে সরকার কাজ করছে।

মাহবুব উল আলম হানিফ আজ সোমবার দুপুরে জেলা শহরের সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শন কালে এ কথা বলেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এ মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় কর্মী সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগীয় তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলন আগামী ২২ মার্চ আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

হানিফ বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সমস্যা জানা ও তা সমাধান করে কেন্দ্রের আরো কাছাকাছি নিয়ে আসাই হচ্ছে সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। সরকারের নানা উন্নয়ন তৎপরতাও আমরা তৃণমূলের কাছে তুলে ধরব। কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে যদি কোন দুর্বলতা পাওয়া যায়, তা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করবে এ সম্মেলন।

পদ্মা সেতু দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে একটি মহল সরকারকে বিব্রত করতে এ অভিযোগ করেছিল। আমরা আগেই বলেছি, যেখানে অর্থায়নই হয়নি সেখানে দুর্নীতি হওয়ার কথা নয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাত করেছেন, দুর্নীতি করেছেন। তার অপকর্মের জন্য নিজেই ফেঁসেছেন। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। তার বিরুদ্ধে আদালত যে শাস্তি ঘোষণা করবে তা অবশ্যই মানতে হবে। তিনি দুর্নীতি করেছেন বলেই মামলাটি নিয়ে টালবাহানায় কালক্ষেপন করছেন।

 

Related posts