বিএনপি ইসি গঠন নিয়ে শঙ্কায়

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ৭   ডিসেম্বর  ২০১৬

বিএনপি ইসি গঠন নিয়ে শঙ্কায়

বিএনপি ইসি গঠন নিয়ে শঙ্কায়

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপির প্রস্তাবকে পাশ কাটিয়ে রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগের ইচ্ছাকে প্রধান্য দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, জানতে পেরেছি রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি গঠনে আলাপ আলোচনা শুরু করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে বিএনপি নেতাদের মধ্যে খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

‘এতে বিএনপি (আমরা) যেমন খুশি হয়েছে, পাশাপাশি আশঙ্কাও করছি। কারণ গতবারও তিনি (রাষ্ট্রপতি) সব  রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ইসি গঠন করেছিলেন।’

এ সময় জনগণকে অবাধে ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘সাগর-রুনি মিলনায়তনে’ ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘৯০ এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য’।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। এই পরিস্থিতিতে গত ১৮ নভেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও শক্তিশালী করতে প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপির বেশকিছু প্রস্তাব ও সুপারিশ তুলে ধরেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ইসি নিয়ে বিএনপির প্রস্তাব নিয়ে উদ্যোগ নিতে এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে এর কপিও দিয়েছে দলটি।

তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ওই প্রস্তাবের বিপরীতে বলছে, সংবিধানে যেভাবে আছে সেই অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তিনিই ইসি নিয়োগে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করবেন, সবার মতামত নেবেন।

আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবেন না। সেই খাতায় নাম লেখাবেন না, যেখানে ধিকৃতদের নাম জনগণের খাতায় লেখা থাকে।’

‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বেশি কিছু চাই না। যে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। একই সঙ্গে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে’, বলেন তিনি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ‘গণতন্ত্রবিরোধী’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এদের স্বৈরাচার বলা এখন ঠিক হবে না। এরা স্বৈরাচারকে ছাড়িয়ে পুরোপুরি ফ্যাসিষ্টে পরিণত হয়েছে। তাই স্বৈরাচারকে পুনঃজীবন দিয়ে ক্ষমতার অংশীদার বানিয়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে এটা স্বাভাবিক। কারণ অতীতেও তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে বিশ্বাস করে না।’

গুম হওয়াদের পরিবারের দাবি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা গুম হয়েছে তারা ফিরে আসবে না। আওয়ামী লীগ সরকার জেনে বুঝে তাদের সরিয়ে দিয়েছে।’

 

 

 

Related posts