বরিশালে মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে চাহিদাও বেড়েছে

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৬  জানুয়ারি  ২০১৭

বরিশালে মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে চাহিদাও বেড়েছে

বরিশালে মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে চাহিদাও বেড়েছে

জেলায় পেয়াজ-রসুন, হলুদ-মরিচ ও ধনেপাতা জাতীয় মসলা আবাদ বেড়েছে। তবে আবাদি মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে চাহিদাও বেড়েছে। যেকারণে মসলার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে প্রান্তিক কৃষকরা।

অপরদিকে, জেলার পাইকারী ও খুচরা বাজারগুলোতে মসলার চাহিদা রয়েছে বলেই আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামার বাড়ি)।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র আরো জানায়, বিগত অর্থবছর ধানের মূল্য আশানুরূপ না হওয়ায় সাহসী ও উদ্যমী কৃষকদের বেশ বড় একটি অংশ চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদের স্থলে পরীক্ষামূলকভাবে মসলা চাষের উদ্যোগ নেয়।

২০১৬-১৭ সালে জেলায় মসলা আবাদের মোট লক্ষ্যমাত্রা র্নিধারণ করা হয়েছিল ১০ হাজার ৫’শ ৫৮ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে মরিচ ৮ হাজার ৫’শ ৮৪ হেক্টর, রসুন ৩শ’ ৫০ হেক্টর, পিয়াজ ৪শ’ ৬০ হেক্টর, হলুদ ২শ’ ৪৪ হেক্টর এবং ধনেপাতা জাতীয় মসলা ৯শ’ ২০ হেক্টর জমিতে।

ফলন ও উৎপাদন ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে বিগত মৌসুমের চেয়ে প্রায় ৪শ’ ৮২ হেক্টর মসলা বেশি আবাদ হয়েছে। এসব উৎপাদিত মসলার মধ্যে পেঁয়াজ-রসুন, হলুদ-মরিচ ও ধনেপাতা জাতীয় মসলার আবাদ অন্যতম।

এ বিষয়ে কৃষকদের সাথে আলাপকালে কৃষকরা জানান, বর্তমানে মসলা জাতীয় শস্য আবাদের ঝামেলা অনেক কম এবং স্বল্প সময়ে অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমান চলতি মৌসুমে ধান কাটার পর জমির ব্যাপক একটি অংশ ফাঁকা রয়েছে। তাই কৃষকরা ফাঁকা জমিতে বর্তমানে মসলা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। মসলা চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা মসলা আবাদে আগ্রহী হয়েও উঠছে বলে জানান কৃষকরা।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উৎপাদন বিশেষজ্ঞ নিত্য রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বরিশাল অঞ্চলমূলত ধানের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কৃষকরা মসলা জাতীয় শস্য আবাদে আগ্রহী হওয়ার কারণ, অল্প জমিতে বেশি মসলা উৎপাদন ও অধিক মুনাফা হওয়া। তাছাড়া মসলা জাতীয় শস্য আবাদে ঝুঁকিও কম।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ বাসস’কে জানান, এ অঞ্চলের কৃষকদের মুৃখে হাঁসি ফুটাতে মসলা জাতীয় শস্য আবাদে কৃষি অধিদপ্তর প্রতিটি কৃষককে সম্ভব্য সব ধরনের সহায়তা দিয়ে সহযোগিতা করবে।বাসস

 

Related posts