শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৮ আগস্ট ২০১৬
আবারো পেছালো মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলার রায়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আসামিদের আদালতে হাজির করতে না পারায় রায় ঘোষণা করা হয়নি।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের ভিপি নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৪ আগস্ট মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম। তবে বিচারক রায় লিখে শেষ করতে না পারায় রায় ঘোষণার জন্য আজ (২৮ আগস্ট, রোববার) নতুন দিন ধার্য করেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্যপ্রদান করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।
২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক শাহজাহান সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রের অপর আসামিরা হলেন- সাকার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী (পলাতক), সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম (কারাগারে), সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান (কারাগারে), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন (কারাগারে), পরিচ্ছন্নকর্মী নয়ন আলী (কারাগারে) ও ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান (পলাতক)।
২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।