যথাযোগ্য মর্যাদায় তুরস্কে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

তুরস্কের আঙ্কারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করেছে। তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক দুতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন।

Historic March 7 celebrations in Turkey

যথাযোগ্য মর্যাদায় তুরস্কে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ-২০২৩ উদযাপন।

রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রাশেদ ইকবাল। এরপরপরই মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য প্রদান করেন অত্র দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মোঃ রাশেদ ইকবাল। অত:পর রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তাঁর সমাপনি বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৭ই মার্চের ভাষণের পরপরই সমগ্র দেশ জুড়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে ও স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ-এর ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব পৃথিবীতে বিরল এবং এ ভাষণের অন্তর্নিহিত সম্বোহনী শক্তির বিকাশ এতই প্রখর ছিল যার ফলে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর UNESCO কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণ-কে ÒMemory of the World International Register, a list of world’s important documentary heritageÓ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয় যা বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনে।

তিনি দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সকলকে বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের আহবান জানান। অত:পর উপস্থিত সকলকে আপ্যায়নের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।

 

Related posts