প্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে কোটিপতি কৃষক!

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১২  জুলাই  ২০১৬

সরকারি প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন হরিশ ধনদেব। টাকা পয়সার ঘাটতিও ছিল না তার। বেশ ভালোভাবেই চলছিল সংসার। তবে একটি প্রদর্শনীতে গিয়েই সব হয়ে যায় ওলট-পালট। দুম করে ছেড়ে দিলেন নিরাপদ আয়ের উৎস সরকারি চাকরিটি। বনে যান কৃষক!

প্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে কোটিপতি কৃষক!

প্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে কোটিপতি কৃষক!

মজার বিষয় হলো এই কৃষক পেশার বদৌলতেই ধনদেব এখন কোটিপতি। অভাব তো ঘর ছেড়ে পালিয়েছেই, ব্যক্তি জীবনেও আলাদ কিছু করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নেরও সফল বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

ভারতের বিভিন্ন দৈনিকে এখন ধনদেবের চর্চা চলছে। তার স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প ছড়িয়েছে এখন দেশটির অলিতে গলিতে।

ভারতের রাজস্থানের জয়সালমির থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ধাইশার গ্রামের এক কৃষক পরিবারে ধনদেবের জন্ম। সেখান থেকে পড়াশোনা করে সরকারি প্রকৌশলী হিসেবে পেশা জীবন শুরু করেন।

একবার দিল্লিতে কৃষি প্রদর্শনী দেখতে যান তিনি। সেখানে ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) ও আমলকীর (আমলা) চাষ দেখেন।

এরপরই চাকরি ছেড়ে ধনদেব শুরু করলেন কৃষিকাজ। ঘুরে যায় তার জীবনের মোড়।

ধনদেবের ১২০ একর জমি ছিল। সেখানেই গড়ে তোলেন অ্যালোভেরার খামার। সঙ্গে অন্য শস্যের চাষও করেন। তার ন্যাচারাল অ্যাগ্রো খামারটি। সেখানকার কৃষিজমি থেকে তার এখন বছরে আয় দেড় থেকে দুই কোটি রুপি।

প্রাথমিকভাবে ৮০ হাজার অ্যালোভেরার চারা নিয়ে কাজ শুরু করেন ধনদেব। এখন তার জমিতে রয়েছে সাত লাখেরও অধিক অ্যালোভেরা গাছ। গত চার মাসে প্রক্রিয়াজাত ১২৫ থেকে ১৫০ টন অ্যালোভেরার নির্যাস তিনি হরিদ্বারে অবস্থিত পতঞ্জলি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের কাছে বিক্রিও করেছেন।

মরু এলাকায় জন্মানো অ্যালোভেরার গুণগতমান ভালো। তাই দেশ-বিদেশে এর চাহিদাও বেশি। শুধু ভারতেই নয়, ব্রাজিল, হংকং, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ধনদেবের অ্যালোভেরা।

 

 

Related posts