বাংলাদেশকে সাহায্য করবো, রাজ্যের স্বার্থ দেখতে হবে : মমতা

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২৪  মার্চ  ২০১৭

বাংলাদেশকে সাহায্য করবো, রাজ্যের স্বার্থ দেখতে হবে : মমতা

বাংলাদেশকে সাহায্য করবো, রাজ্যের স্বার্থ দেখতে হবে : মমতা

আমাকে প্রথমে রাজ্যের স্বার্থ দেখতে হবে। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। বাংলাদেশকে যতটা সাহায্য করার আমি করব, তবে রাজ্যকে বাঁচিয়ে।তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দ টেলিভিশনে ‘মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী’শীর্ষক সাক্ষাৎকার ভিত্তিক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘আমি তো শুনছি ২৫ মে নাকি বাংলাদেশে গিয়ে তিস্তা চুক্তি হবে। অথচ আমি এখনও কিচ্ছু জানি না। কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানায়নি।’

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারেকে কিছুই জানাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মমতা বলেন, ‘এ ধরনের যে কোনো চুক্তির আগে রাজ্যের স্বার্থ বিবেচনায় নিতে হবে। রাজ্যের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা জরুরি। কারণ এখানে সবচেয়ে বেশি রাজ্যের স্বার্থ জড়িত। সবকিছু রেডি করে আমাকে যদি বলো স্ট্যাম্প মারার জন্য, স্যরি! আমাকে রাজ্যের স্বার্থ দেখতে হবে।’

আসছে ৭ এপ্রিল দ্বি-পক্ষীয় সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সফরে ভারতের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হওয়ার কথা বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র।

তবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা অনিশ্চিত। তবে কবে হবে তাও নিশ্চিত করে বলেননি তিনি।

শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘সুসম্পর্কের’ কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালো। পার্সোনাল সম্পর্ক ভালো, রাজনৈতিক সম্পর্কও বেশ ভালো। যদি ভালো না হতো তাহলে ছিটমহলটা আমরা করে দিলাম, ৬৬ বছরে যেটা হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু সব তো আর পাওয়া যায় না। যেখানে রাজ্যের স্বার্থ জড়িত আছে, সেখানে রাজ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেখানে আমি পারব এবং সেটা দুই দেশেরই ভালো হবে, সেটা আমি করে দেব।’

২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে তা আর হয়নি।

এরপর ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময়ও তা ঝুলে থাকে। ওই সফরে আসার কথা থাকলেও মোদির আগেই বাংলাদেশ সফর করেন মমতা।

পরে তিস্তাসহ অমীমাংসিত বিষয় সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী মোদি । তবে এ তিস্তা চুক্তি না হওয়ার জন্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই ‘দোষারোপ’করে আসছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও তার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।

দীর্ঘ অনুষ্ঠানে মোদির নোট বাজেয়াপ্ত, উত্তর প্রদেশ নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপিবিরোধী হিসেবে পরিচিত মমতা।

তিনি বলেন, আমাকে রাজ্যের ভালোমন্দ দেখতে হবে। ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) যদি বাংলাকে নিশানা করে, আমিও ইন্ডিয়া টার্গেট করব!

 

Related posts