শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৯ জুন ২০১৬
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিভিন্ন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা ও পরিদর্শন সংস্থাকে অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের ফলে দেশীয় পণ্য ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর দেশি-বিদেশি ভোক্তাদের আস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০১৬ উপলক্ষে বুধবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিএবি জাতীয় স্বার্থে তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আন্তর্জাতিক মান অব্যাহত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।
পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রতিনিয়ত বর্ধিত চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন নিয়মনীতি প্রবর্তিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বমান, চাহিদা, সন্তুষ্টিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহ যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করছে।
তিনি বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : এ গ্লোবাল টুল টু সাপোর্ট পাবলিক পলিসি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
মান, সাদৃশ্য মূল্যায়ন ও অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়গুলো বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এগুলোর উপরই পণ্য ও সেবার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই সরকারি নীতি নির্ধারণী সংস্থাসমূহ এগুলোকে ভিত্তি করেই পরিবেশ সুরক্ষা, জননিরাপত্তা, প্রতারণা প্রতিরোধ, কার্যকর বাজার ও জনআস্থা সৃষ্টিতে অধিকতর কার্যকরী আইন প্রণয়ন করে থাকে।
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) প্রতি বছরের মতো এবারও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করছে জেনে তিনি আনন্দিত।