ড. আতিউর রহমানের গ্রেফতার চেয়ে রিট

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম।  ১৮  মার্চ

ড. আতিউর রহমানের গ্রেফতার চেয়ে রিট

ড. আতিউর রহমানের গ্রেফতার চেয়ে রিট

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সদ্য পদত্যাগকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী। সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থসচিব, কেবিনেট সচিব ও গভর্নরকে রিটের বিবাদী করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে ড. আতিউর রহমানের গ্রেফতার ও পাসপোর্ট জব্দ করার জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা, জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার ও নির্দেশনা, এছাড়া রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের আরজি জানানো হয়েছে।

রিটের অপর এক নির্দেশনায় অর্থ চুরির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে (ইউএসএ) দেওয়ানি আদালতে মামলা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটের বিষয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে টাকা গচ্ছা গেছে তার মালিক জনগণ। সংবিধানের অনেুচ্ছেদ-(৭) অনুযায়ী সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩ (ক) অনুযায়ী মালিকানার নীতি জনগণের পক্ষে রাষ্ট্র মালিক।

তিনি বলেন, জনগণের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের গভর্নর তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। ব্যর্থ গভর্নরের বিচার হওয়া উচিত।

এই আইনজীবী বলেন, ব্যাংক থেকে অর্থ (টাকা) পাচারের ঘটনা এক মাস আগের। অথচ প্রকাশ পায় এক মাস পর। এতে তার (ড. আতিউর রহমান) গাফিলতি প্রকাশ পেয়েছে। তাই তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।

তদন্ত কার্যক্রম চলছে রিট অনুযায়ী আবারও তদন্ত করতে হবে কেন জানতে চাইলে  ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, তদন্ত হচ্ছে তা ঠিক, তবে জুডিশিয়াল কমিশন গঠন না করলে তদন্ত সঠিক হবে না।

এর আগে মঙ্গলবার গভর্নরের পদ থেকে সরে যান আতিউর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আট কোটি ডলারের বেশি অর্থ ‘হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে’ লোপাট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি গোপন রাখায় চাপের মধ্যে মঙ্গলবার গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

ওইদিনই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নতুন গভর্নর হিসেবে ফজলে কবিরের নাম ঘোষণা করেন। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বুধবার চার বছরের জন্য চুক্তিতে তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে।

 

এছাড়া সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোথায় কোথায় সংস্কার প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখবে বলে জানান মুহিত।

রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

 

Related posts