জনগণ চাইলে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব থাকবে: ওবায়দুল কাদের

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ১৩  মার্চ  ২০১৭

জনগণ চাইলে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব থাকবে: ওবায়দুল কাদের

জনগণ চাইলে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব থাকবে: ওবায়দুল কাদের

জনগণ চাইলে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব থাকবে,আওয়ামী লীগ ভারত প্রীতিতেও নেই, ভীতিতেও নেই বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের । ভারত দুঃসময়ের বন্ধু আমাদের, বাংলাদেশের স্বার্থে এই বন্ধুত্ব থাকবে। জনগণ চাইলে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব থাকবে। জনগণ না চাইলে তাদের সাথে বন্ধুত্ব থাকবে না। রোববার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জাতীয় শ্রমিক লীগের সমাবেশে  তিনি এ কথা বলেন।

শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাববিবুর রহমান সিরাজ।

কাদের বলেন, বিএনপি নালিশের ভাঙা রেকর্ড বাজায়। এখন প্রতিদিন একটি ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছে। সেটা হল ভারত বিদ্বেষ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখনো ভারত যাননি। যাওয়ার আলোচনা চলছে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। তার আগেই ঐ ভাঙা রেকর্ড এখন বাজানো শুরু হয়েছে।

সরকারের এই মন্ত্রী বললেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক ইতিবাচক ও গঠনমূলক। কোন চুক্তি হলে পারস্পরিক স্বার্থে ও জাতীয় স্বার্থেই তা হবে। জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা জীবন থাকতে কোনো চুক্তি করবে না।

২০০১ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে কাদের বলেন, ভারতের নির্বাচনের সময় আপনারা (বিএনপি) ফুল নিয়ে দূতাবাসে চলে গেলেন। মোদি আসলো, তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা আর মোদি দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তি করলো। এই সম্পর্ক থাকবে, ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। কারণ,  এ সম্পর্ক জনগণের স্বার্থে, ক্ষমতার জন্য নয়। ক্ষমতার স্বার্থে বিকানোর ইচ্ছে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেই।

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে তারা ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছে, আবার তরে তলে প্রস্তুতিও নিচ্ছে। গাধা পানি ঘোলা করে খায়। বিএনপিও পানি ঘোলা করে খাবে।

তিনি বলেন, কমিশনে আপনাদের একজন আছে, আমাদেরও একজন। আপনারা তো আজিজ মার্কা নির্বাচন চেয়েছিলেন। তখন তো আমাদের একজনও ছিল না। এরপরও আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনমত প্রভাবিত করার ইচ্ছে আমাদের নেই। সেই ইচ্ছে থাকলে আপনারা ৫ সিটিতে জিতলেন কীভাবে? সুষ্ঠু না হলে কীভাবে জিতলেন?  আমরা বাধা দেইনি, হস্তক্ষেপ করিনি। আপনারা কি দিতেন?  আমরা তো দিয়েছি।

 

 

Related posts