চারদিকে ভয় আর শঙ্কা : রিজভী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২৫  ডিসেম্বর  ২০১৬

চারদিকে ভয় আর শঙ্কা : রিজভী

চারদিকে ভয় আর শঙ্কা : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সময়ে দেশে কোন মানুষ ভয়ে কোনো কথা বলতে পারে না। বিরোধী দলের মানুষের কথা বলার কোন অধিকার নেই। ভোটের অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে। চারদিকে ভয় আর শঙ্কা, এটাই কি স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল। এ ভয়ের সংস্কৃতিই মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘লুই কানের নকশা : পাকিস্তানের পতাকার আদলে স্বৈরাচারী আইয়ুবের স্বপ্নের প্রতিফলন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।

নাসিক নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরা টেলিভিশন ফাটিয়ে দিচ্ছেন। যখন মানুষের কথা বলার অধিকার, গণতন্ত্র কেড়ে নিচ্ছেন, রক্তপাতে নির্বাচন করছেন, তারা হঠাৎ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেন কি করে? এটাই বড় বিস্ময়কর বিষয়। এ সুষ্ঠু পরিবেশ দেখানোর উদ্দেশ্য কি?’

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে বলেছিলাম পর্দার আড়ালে কিছু হচ্ছে কি না। মানুষের ভয় ভেঙে যে ভোটকেন্দ্রে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। আমরা বলেছি সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেটা করেনি। আমাদের কোনো কথা রাখেনি। আগের দিন রাতে ভোটের সব জিনিস ঢুকেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায়। অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এর আগে কোনো সঠিক নির্বাচন উপহার দিতে পারেনি। ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দিলেন কেন? এ ভয়, সংশয়ের কারণ তদন্ত করা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলছেন তিনি উগ্রবাদ জঙ্গিবাদ দমন করছেন। অথচ এ উগ্রবাদ জঙ্গিবাদ আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গিবাদ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিএনপির আমলে জঙ্গিবাদ শব্দটির সঙ্গে মানুষ পরিচিত ছিল না। সরকার বলে জঙ্গিবাদ দমন করেছে। তাহলে কি করে আশকোনায় জঙ্গি ধরা পড়ে। এরা কি আসলে জঙ্গি নাকি রাষ্ট্রীয় সৃষ্টি। সরকার জঙ্গিবাদ দমন করছে সেটি জনগণকে দেখানোর জন্য। কোনো নাটক সৃষ্টি না করে আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমন করি।

জিয়াউর রহমানের মাজার সরানো বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য  অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, সরকারের যদি সামান্যতম ন্যায়বোধ থাকে তাহলে একজন সায়িত ব্যক্তিকে ডিস্টাব করতেন না। প্রধানমন্ত্রী আপনি কতবছর ক্ষমতায় থাকবেন? ১০ বছর কিংবা ২০ বছর? একদিন তো ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তবে যখনই ক্ষমতায় ছাড়েন না কেন এর প্রতিক্রিয়া হবে দীর্ঘ সময়ের জন্য। যা হবে খুবই ভয়ংকর, মারাত্মক।

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বা নেতা এভাবে চিন্তা করা ঠিক হবে না। তিনি জাতির সম্পদ। শুধু তিনিই নন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, তাজউদ্দিন আহমেদ, এ কে ফজলুল হক, আব্দুল হামিদ খান ভাসানীও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ছিলেন। তাদের প্রতি ন্যূনতম ঈর্ষা জাতি কিছুতেই মেনে নেবে না।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির নেত্রী খালেদা ইয়াসমীন ও কৃষক দল নেতা শাজাহান মিয়া।

 

Related posts