একতরফা নির্বাচনে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হলে দায়দায়িত্ব শেখ হাসিনার

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২২  জানুয়ারি  ২০১৭

একতরফা নির্বাচনে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হলে দায়দায়িত্ব শেখ হাসিনার

একতরফা নির্বাচনে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হলে দায়দায়িত্ব শেখ হাসিনার

নতুন নির্বাচন কমিশন পূর্ববর্তী কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিনের মতো নির্বাচন করে কি না বিএনপি তা দেখতে চায় জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যদি সরকার আবারও একতরফাভাবে নির্বাচন করতে চায় তাহলে দেশে গণঅভ্যুথান হবে। ফলে দেশে কোনো নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয় তার দায়দায়িত্ব এককভাবে শেখ হাসিনাকে নিতে হবে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ‘পিলখানা ট্র্যাজেডি- কেন এই সেনা হত্যা? কার স্বার্থে?’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরের ভেতরে একদল বিপদগামী বিডিআর সদস্যের হাতে ৫৭ জন সেনা সদস্য নিহত হন। প্রতিবছর এই দিনকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সংগঠন পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিডিআর বিদ্রোহের ফলে যে ঘটনা সেদিন ঘটেছে এটা কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা সংগঠিত হয়েছে। অথচ ওইদিন সেনাবাহিনীর ট্যাংক আবাহনী মাঠে ছিল। নির্দেশ পেলে সর্বোচ্চ ৩০মিনিটের মধ্যে পিলখানায় প্রবেশ করলে হতাহত কম হতো। বড় দুর্ঘটনা হতো না। কিন্তু সেই নির্দেশ দেয়া হয়নি। কারণ এটা ছিল ষড়যন্ত্রের অংশ।

তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন বাংলাদেশের স্বার্থে কি সেদিন ৫৭ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল? নিশ্চয়ই বাংলাদেশের স্বার্থে নয়। তাহলে কার স্বার্থে? তখনকার সরকারের ‘নতজানু নীতি’ ও বিদেশিদের খুশি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারলেও সেদিন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগের বাক্সবন্দি এমন দাবি করে মোশাররফ বলেন, দেশে এখন অলিখিত বাকশাল চলছে। এ কারণে সরকার তাদের কোনো সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।

নতুন নির্বাচন কমিশন সরকারের পছন্দের এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে প্রস্তাব দিলেন। তার আলোকে রাষ্ট্রপতি সংলাপ করলেন। কিন্তু সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে তার কোনো ফলাফল আসেনি।

কারণ যাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে তিনি সরকারি কর্মকর্তা থাকাবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে জনতার মঞ্চের সংগঠক ছিলেন। তখন তিনি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলেন। সেখানে তখনকার প্রধানমন্ত্রীর ছবি কার্যালয় থেকে নামিয়ে ফেলেছিলেন। এখন তাকে করা হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান প্রমুখ।

এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমান কমিশনকে দেখতে চাই। সামনে কয়েকটি নির্বাচন আছে। তারা রকিবুদ্দিন কমিশনের মতো নির্বাচন করে কি না।

 

 

Related posts