শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৩ মার্চ ২০১৭
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক জানান বাংলাদেশ পুলিশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি ইন্টারপোলকে গুরুত্ব সহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে । ইন্টারপোল মহাসচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আহ্বান জানান ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইন্টারপোলের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ইন্টারপোল মহাসচিব জার্গেন স্টোক।
তিন দিনব্যাপী চিফস অব পুলিশ কনফারেন্স শুরু হয় রোববার। এতে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই,চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম এই ১৪টি দেশের পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছে। এ ছাড়া রয়েছেন ইন্টারপোল, ফেসবুক, ইন্টারপোলগ্লোবাল কমপ্লেক্স ফর ইনোভেশন (আইজিসিআই), যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), আসিয়ানাপোল (ASEANAPOL), ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ট্রেনিং অ্যাসিসট্যান্স প্রোগামসহ (আইসিআইটিএপি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিম স্পেনে অবস্থান করছে বলে আমরা ইন্টারপোলকে জানিয়েছি। এ ছাড়া বিদেশে থাকা অন্যান্য খুনিদের গ্রেফতারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছি। ইন্টারপোলের মহাসচিব খুনিদের গ্রেফতারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে তারেক রহমানের নাম বাদ দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে তারেকের নামে আবারও নোটিশ জারির আহ্বান জানায় পুলিশ। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা ও কয়েকটি দুর্নীতি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিভিন্ন মামলায় তাকে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক দেখাচ্ছে আদালত। ২০১৫ সালে ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় তারেকের নাম। জারি করা হয় রেড নোটিশ। কিন্তু এক বছর পর ২০১৬ সালে আবারও প্রত্যাহার করা হয় সেই নোটিশ। এ বিষয়ে আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, রেড নোটিশ প্রত্যাহার হওয়ায় ইন্টারপোলের কাছে আমাদের উদ্বেগ জানিয়েছি। তারা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন।
ইন্টারপোলের সঙ্গে সাউথ এশীয় দেশগুলোর তথ্য ও যোগাযোগ আরও সহজ করতে বাংলাদেশে ইন্টারপোলের একটি শাখা অফিস খোলার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। বৈঠকে একেএম শহীদুল হক বাংলাদেশে অফিসটি খোলার বিষয়ে বিবেচনা করার কথা বলেন। প্রস্তাবে ইন্টারপোলের মহাসচিব আইজিপিকে ইতিবাচক সাড়া দেন। তিনি বলেন, একটা অফিস তৈরির জন্য নানা ধরনের সাপোর্ট ও লজিস্টিক প্রয়োজন হয়।আপনারা অফিস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এ বিষয়ে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত দেব।