শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৬ অক্টোবর ২০১৬

আড়াই কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে আ. লীগের সম্মেলনে
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক বছরের জন্য ১২ কোটি ৩৫ হাজার টাকা বাজেট নির্ধারণ করেছে। ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দলটির ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে খরচ করা হবে। দলের কেন্দ্রীয় কাযালয় নির্মাণে ব্যয় করা হবে ৫ কোটি টাকা। বাকি টাকা দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যয় করা হবে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির এক বৈঠকে বাজেট সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ সভায় এক বছরের জন্য দলীয় বাজেটের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। পরে সেই বাজেট অনুমোদিত হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের নিয়মিত দলীয় চাঁদা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য চাঁদা ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া কাউন্সিলরদের বার্ষিক চাঁদা ১০০ টাকার স্থলে বাড়িয়ে ২০০ টাকা, দলীয় সংসদ সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে।
অপর দিকে বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ থেকে ২০১৬। ৩৫ বছর। আর কত? আমি চাই, সবাই নতুন নেতা নির্বাচন করুক।
এ বক্তব্যের সময় উপস্থিত জাতীয় কমিটির নেতারা ‘না’ বলে দলীয় প্রধানের বক্তব্যের বিরোধীতা করেন এবং শেখ হাসিনার প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। পরে দলীয় প্রধানের এমন বক্তব্যের রেশ ধরে জাতীয় কমিটির একাধিক নেতা বক্তব্য দেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, নেত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অনেককেই দেখা যায়নি। তারা সরিয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। এবারের সম্মেলনে সেসব মুখ যেন নেতৃত্বে না আসে সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন-এটা আমাদের অনুরোধ।
দিনাজপুর, পঞ্চগড়, বাগেরহাট, সিলেট ও খুলনা জেলার জাতীয় কমিটির সদস্যরা বক্তব্যে শেখ হাসিনাকে পুনরায় আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার দাবি জানান।
তারা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তিন বার ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর চোখে একটি রোল মডেল হিসেবে অবস্থান করছে। দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারো দলের সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই।
এসব বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় কমিটির নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এটা নেতা নির্বাচনের জায়গা নয়। নেতা নির্বাচনের জন্য আগামী ২২-২৩ তারিখ আছে।