শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৯ আগস্ট ২০১৬
‘আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি নিজ থেকে কারো সঙ্গে হাত মেলাবে না। কেউ চাইলে আমাদের সঙ্গে আসতে পারে। আমরা এখন শক্তিশালী, একাই একশ। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আমরা বলেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হলে রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত দলের যৌথ সভায় তিনি এ দাবি করেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হোসেন মৌসুমী, তোফাজ্জল মাষ্টার, ইফতিখার আহসান, আমির হোসেন এমপি, নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, মাহজাবিন মোরশেদ এমপি, শফিউল ইসলাম প্রমুখ।
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। নির্বাচনের জন্য নেতা-কর্মীদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে গ্রামে-গঞ্জে ঝাঁপিয়ে পড়ো। দলকে শক্তিশালী করো। তাহলে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আমার সন্তান। এর জন্য সন্তানকে অবহেলা করেছি। কার কথা বলছি, এরিখের কথা। সকালে বেরিয়ে যাই, দেখা হয় না। ৭দিন, ৮দিন দেখা হয় না। দেখার কেউ নেই, মা নেই, বোন নেই। একটি ছেলে একাই বাসায় থাকে। তারপরও আবেগকে দূরে রেখেছি তোমাদের জন্য, একমাত্র দলের জন্যই।
এরশাদ বলেন, অনেক ঝড় গেছে। জাতীয় পার্টি ভেঙ্গে পড়ে নাই। যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে আজ তাদের স্মরণ করছি। তোমরা যারা আছ তোমরা আমার সন্তান। তোমাদের ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে আমরা ক্ষমতায় আসবো।
খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে অভিযোগ করে এরশাদ বলেন, ‘আমাকে বিনা কারণে ৪২টা মামলা দিয়েছেন। আমার কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। কিন্তু এরশাদকে দমাতে পারেনি। জনগণের ভালোবাসা থাকলে কেউ কিছু করতে পারে না। আমার ওপর জনগণের ভালোবাসা রয়েছে।’
জঙ্গিবিরোধী দেশ গড়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে এরশাদ বলেন, দল ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস থাকবে না। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে।
এরশাদ তার বক্তব্য শেষে জঙ্গিবিরোধী নিজের লেখা কবিতা পাঠ করেন। কবিতার নাম ইচ্ছা। এ সময় নেতা-কর্মীরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান।
উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এস এম ফয়সল চিশতী প্রমুখ।