অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ‘গেইম চেঞ্জার’: শিল্পমন্ত্রী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২২  জানুয়ারি ২০১৭

 

অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ‘গেইম চেঞ্জার’: শিল্পমন্ত্রী

অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ‘গেইম চেঞ্জার’: শিল্পমন্ত্রী

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোসহ আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ‘গেইম চেঞ্জার’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলেছেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ।

তিনি শুক্রবার ভারতের কোলকাতার মিলন হলে দু’দিনব্যাপী তৃতীয় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে এ কথা বলেন।

তিনি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ, সফ্টওয়্যার নির্মাণ, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, জাহাজ নির্মাণ, হিমায়িত মৎস্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধ, প্লাস্টিক, ফার্নিচার, হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিভিত্তিক পণ্য,পর্যটন ও বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং, অটোমোবাইল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মহাকাশ গবেষণা, চা ও পর্যটন শিল্পখাতে বিনিয়োগের জন্যও তিনি পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।

আমু বলেন, কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনের চমৎকার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

শিল্পখাতে যৌথ বিনিয়োগ বাড়িয়ে এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য তিনি ভারতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী এ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, ভারতের কেন্দ্রিয় সরকারের অর্থ ও কর্পোরেট বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রী অরুন জেটলি বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ সব সময় ভারতকে কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। শিল্প ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং বাণিজ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দু’দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে।

তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে উভয় দেশের সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইতোমধ্যে মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমানা চুক্তির বাস্তবায়ন, বর্ডার হাট চালু, ভারতীয় সেকেন্ড লাইন অব ক্রেডিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের উন্নয়নে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন, নতুন ল্যান্ড কাস্টমস্ স্টেশন, ল্যান্ড পোর্ট স্থাপন, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লায় একশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং ১০ জিবি ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ ইত্যাদির কথা তিনি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় স্থান। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের বিনিয়োগনীতি এবং শিল্পনীতি আধুনিক ও যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় সেবা ও ইনসেনটিভ জোরদার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি সড়ক, মহাসড়ক, বন্দরসহ যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারিদের জন্য সরকার ১০০টি ইকোনোমিক জোন গড়ে তুলছে।

ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে তাদের জন্যও একটি বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল বরাদ্দ দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশে বিরাজমান স্থিতিশীল পরিবেশে ভারতীয় শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য ভারতে পুনঃরপ্তানির সুযোগ রয়েছে।

যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা যেতে পারে বলেও তিনি জানান।

 

 

Related posts