শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৫ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘রোহিঙ্গা সংকট : রাষ্ট্র নাকি মানবতা?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ফখরুল বলেন, মিয়ানমারে গণতন্ত্রের মানষকন্যা যখন নির্বাচনে জয় লাভ করে ক্ষমতায় এসে একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর (রোহিঙ্গা) ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। আমার দেশেও (বাংলাদেশ) কি এর থেকে ব্যতিক্রম কিছু আছে? এ দেশেও তো যারা গণতন্ত্র চায় তাদের হত্যা করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেজন্য আমার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে, এ রাষ্ট্র কোন রাষ্ট্র? এ রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব কি? মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একই দৃশ্য আমরা দেখেছি সিরিয়াতেও। এখনও সিরিয়াতে হত্যাযজ্ঞ চলছে। একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে।
‘আমরা অন্য দেশের হস্তক্ষেপ করতে পারি না, কিন্তু সেই দেশের কোনো ঘটনার ফলে আমাদের ওপর চাপ পড়লে অবশ্যই আমাদের কথা বলতে হয়’ বলেন ফখরুল।
বিএনপির এ নেতা বলেন, মিয়ানমারের ব্যাপারে আমাদের পরিষ্কার কথা। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াও বলেছেন তাদের (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দেয়া হোক। একইসঙ্গে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার জন্য।
সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্টাডিজ (সিএনএস) আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আজকে আমাদের দেশে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা মানবতাকে বুলুণ্ঠিত করছে। তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।