শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৫ মার্চ ২০১৭
বিশ বছরের পুরোনো মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সামনের সড়কে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ সময় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, মতিঝিল এবং ফকিরাপুল এলাকায় তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পুরোনো যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।ভ্রাম্যমান আদালত ২০ বছরের পুরনো গাড়ী, গাড়ীর ফিটনেস, রুট পারমিট, রেজিষ্ট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করছেন। এ সময় মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, লাইসেন্সবিহীন চালক, পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
“এসব পুরোনো বাস। অসচেতন চালকদের বেপরোয়া আচরণ, যেখানে সেখানে পার্কিংয়ের কারণে রাজধানীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পুরোনো বাসগুলো নাগরিকদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। প্রায়ই দুর্ঘটনায় সাধারণ নাগরিক জীবন হারাচ্ছে।” এ কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ অভিযান চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মেয়র। তিনি বলেন, পুরোনো বাস রাজধানীর রাস্তা থেকে পুরোপুরি উঠানো এবং পরিবহনে সুষ্ঠু শৃঙ্খলা না আসা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। “আমরা আগেই বলেছিলাম পুরোনো যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। এরই ধারাবাহিতায় বিআরটিএর সহায়তায় আজকের এ ভ্রাম্যমাণ আদালত। আমরা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।”
“যেসব চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকবে না, বিআরটিএর আইন অনুযায়ী ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকবে না, তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।” উপস্থিত সাংবাদিকগনের এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আইন অমান্যকারী যত প্রভাবশালীই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
আইন মেনে যানবাহন পরিচালনা করতে পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।“আইন অনুযায়ী আপনারা ব্যবসা পরিচালনা করবেন। পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ বাস রাস্তায় চালাবেন না। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই, ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই, তাদের দিয়ে গাড়ি চালাবেন না।” ” বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুস সালাম, জেলা প্রশাসক দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজষ্ট্রিটে তোহদি এলাহী এবং ডিএসসিসি’র ম্যাজিষ্ট্রেট মামুন সরদার ভ্রাম্যমান আদালত পরচিালনা করনে।
মোটরযান অধ্যাদেশের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় মোট ৭ জন চালককে বিভিন্ন (৫ জন চালককে ১ মাস এবং ২ জন চালককে ১৫ দিন) মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া ফিটনেস না থাকায় ২টি বাস এবং ১টি লেগুনা জব্ধ করে ডাম্পিং করা হয়েছে। মোট ৭৫টি মামলা হয়েছে এবং ৮৭,৪০০/-টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আগামীকালও যথারীতি এ অভিযান চলবে।
ভ্রাম্যমান আদালতের কাযক্রম চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কমকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান সম্পত্তি কমকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সম্পত্তি কমকর্তা দেবাশীষ নাগ, ডিএমপি’র এডিসি আশরাফ উদ্দিন।