২১ রমজানের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের বোনাস

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২৩  মে  ২০১৬

২১ রমজানের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের বোনাস

২১ রমজানের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের বোনাস

আসন্ন ঈদুলফিতর উপলক্ষে পোশাক শ্রমিকদের বোনাস ২১ রমজানের মধ্যে ও জুন মাসের বেতন ঈদের আগে পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার সচিবালয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির সভা শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের সময় শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দিলে অনেকটা যানজট এড়ানো সম্ভব। আর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঈদের ছুটির তিন দিন গার্মেন্টস খোলা না রাখার অনুরোধও জানাচ্ছি।’

চুন্ন বলেন, ‘আগামী ঈদটা হবে জুলাই মাসের ৬ বা ৭ তারিখে। নিয়ম অনুযায়ী কোনো মাসের বেতন পরের মাসের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে হয়। সে অনুযায়ী জুন মাসের বেতন দিতে হয়তো ১০/১২ তারিখ হয়ে যাবে। এ সভা সাধারণত রমজানে করা হলেও এবার মালিকদের অনুরোধ জানাতে আমরা একটু আগেই করে ফেলেছি।’

পোশাক মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সভায় চারটি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের ছুটির আগেই যাতে জুন মাসের বেতন দিয়ে দেওয়া হয়। উৎসব ভাতা যাতে রমজানের ১৫ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে দিয়ে দেন-এটাই আমাদের সভার সিদ্ধান্ত।’

তিনি বলেন, ‘উৎসব ভাতা নির্দিষ্ট করা নেই। কিন্তু মালিকরা উৎসব ভাতা দিয়ে আসছেন। মালিকরা শ্রমিকদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে উৎসব ভাতা দিয়ে থাকেন।’

রমজান মাসে বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই করতে দেখা যায় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরও আমরা মালিকদের অনুরোধ করেছিলাম, রমজানে যাতে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা না হয়। তারা আমাদের কথা রেখেছিলেন। এবারও আমরা তাদের অনুরোধ করেছি কোন অবস্থায়ই যাতে ঈদকে সামনে রেখে কোন শ্রমিককে ছাঁটাই করা না হয়।’

ঈদের সময় সব কল-কারখানায় একসঙ্গে ছুটি হলে যানবাহনে যাতায়াতে সমস্যা হয় জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ‘গত বছর আমরা পর্যায়ক্রমে ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমকে অনুরোধ করেছি এবারও যাতে গত বছরের মতো শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া হয়।’

মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নেতৃবৃন্দ, পোশাক শ্রমিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

 

Related posts