শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২৮ জুলাই ২০১৬
হজ ইসলামের অন্যতম সর্বোত্তম ইবাদাত। হজের বিনিময়ের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। একজন হাজি সকল প্রকার অন্যায় বর্জন করে সঠিকভাবে হজের কার্যক্রম আদায় করতে পারলে আল্লাহ তাআলা তাকে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ করে দিবেন। হজ পালনে হাজিদের জন্য রয়েছে তিনটি ফরজ কাজ। যা তুলে ধরা হলো-
প্রথমত-
ইহরাম বাঁধা অর্থাৎ হজের নিয়তে মিকাত (নির্দিষ্ট স্থান) হতে দুখণ্ড সেলাইবিহীন কাপড় পরে সবসময় বেশি বেশি তালবিয়াহ অর্থাৎ লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়ক্ লাব্বায়কা লা শারিকা লাকা লাব্বায়ক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল্ মুল্ক, লা-শারিকা লাক (আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, আমি হাজির। নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও নেয়ামত তোমারই আর সাম্রাজ্যও তোমার, তোমার কোনো শরিক নেই) পাঠ করা।
দ্বিতীয়ত-
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান। জিলহজের ৯ তারিখে ফজর নামাজের পর আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। আরাফাতের ‘নামরা’ নামক স্থানে জোহর ও আসরের নামাজ, এক আজান ও দুই একামতসহ কসর পড়ে নামাজ সম্পন্ন করা এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
তৃতীয়ত-
তাওয়াফে জিয়ারত করা। ১০ই জিলহজ ভোরে বেলা থেকে ১২ই জিলহজ পর্যন্ত যে কোনো দিন পবিত্র বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল হজ পালনে গমনেচ্ছু আল্লাহর মেহমান হজযাত্রীগণকে এ তিনটি কাজ যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।