শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। হাজীরা সৌদি আরবের সময় অনুযায়ী ৭ জিলহজ মাগরিবের নামাজ আদায়ের পর মিনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। আজ সূর্যোদয় থেকে মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হল হজের আনুষ্ঠানিকতা। কাল সূর্যোদয় পর্যন্ত তারা মিনায় অবস্থান করবেন। পবিত্র মক্কা নগরী থেকে তাঁবুর শহরখ্যাত মিনার দূরত্ব ৯ কিলোমিটার।
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে হজ পালন। জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করতে হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মনসুর আল তুর্কি জানা, হজযাত্রীদের মিনায় নিরাপদের পৌঁছানো এবং সেখানে অবস্থানের বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, শনিবার সকাল থেকেই হজযাত্রীরা মিনায় সমবেত হতে শুরু করবেন। এ কারণে এ সময়টায় সেখানে তীব্র ভীড় পরিলক্ষিত হবে।
আজ সারাদিনই হজযাত্রীরা মিনায় অবস্থান করবেন। সেখানে তারা পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনের উদ্দেশে মক্কায় গেছেন।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৫২০ জন মক্কা নগরী থেকে হেঁটে, বাসে করে মিনার উদ্দেশে রওনা হন। ‘লাব্বাইকা, আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাতের ময়দান মুখরিত করবেন তারা।
আজ ফজর থেকে কাল ফজরের নামাজ পর্যন্ত অবস্থান শেষে হাজীরা আরাফাতের ময়দানে রওনা হবেন। আরাফাতে গিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সেখানে হজের খুতবা শুনবেন। জোহর এবং আসরের নামাজ একত্রে আদায় করবেন। আরাফাতে সারা দিন কাটাবেন খোলা আকাশের নিচে।
এরপর হাজীরা আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করবেন। মুজদালেফাতেও খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন। সেখান থেকে জামারায় শয়তানকে মারার জন্য পাথর (কংকর) সংগ্রহ করে নেবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে হাজীরা আবার মিনায় ফিরবেন।
মিনায় হাজীরা পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন, শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ ও ইহরাম খোলা এই কাজগুলো সম্পন্ন করবেন। এই আহকামের অংশ হিসেবে হাজীরা মিনায় গিয়ে ১০ জিলহজে কোরবানি করবেন এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটাবেন। এছাড়া বাকি দুটি কাজও করবেন। এরপর মক্কায় পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। এই তাওয়াফের নাম বিদায়ী তওয়াফ। এর আগে সৌদি আরব গিয়েই হজযাত্রীরা প্রথমে একবার অবশ্যই পবিত্র কাবা ঘর তওয়াফ করেন।
বিদায়ী তওয়াফ সেরে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ সেখানে অবস্থান করে প্রতিদিন তিন শয়তানকে পাথর মারবেন। এভাবে সম্পন্ন হবে হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা।