র্ট ডটকম। ২৯ এপ্রিল ২০১৬
রাজধানীর পাইকারি বাজারে চাল সরবরাহে কোনো সংকট না থাকলেও গত এক মাসে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২-৪ টাকা করে। এ ছাড়া কোনো কোনো জায়গায় বাজার ও দোকানভেদে চালের দাম এর চেয়েও বেশি নিচ্ছেন দোকানিরা। অন্যদিকে কাঁচাবাজার অনেকটা ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। পেঁয়াজের দামও রয়েছে স্থিতিশীল। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস আর মুরগির দাম।
শুক্রবার রাজধানীর কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কাফরুর, কচুক্ষেতসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সপ্তাহ তিনেক আগে ভালো মানের মিনিকেট চালের দাম ছিল বস্তা প্রতি ২১৫০ থেকে ২২০০ টাকা। বর্তমানে তা বস্তা প্রতি ৫০-১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২৫০-২৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একটু খারাপ মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ২১০০ থেকে ২১৫০ টাকায়। দুই মাস আগেও খুচরা বাজারে যে চাল পাওয়া যেত প্রতি কেজি (মিনিকেট) ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা করে, চলতি সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৩৭-৩৮ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫২ টাকা, পারিজা ৪২ টাকা, নাজির শাইল ৫২-৫৮ টাকা ও বিআর আটাশ ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচেছ।
আগের সপ্তাহের দরেই গরু, খাসি ও ব্রয়লার মুরগির বিক্রি করছে বিক্রেতারা। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসি ৫৫০-৫৮০ টাকা, কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা, কক মুরগি ২২০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গত সপ্তাহের মতই মাছের ধর স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি রুই ২৫০-৩০০ টাকা, কাতলা ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-১৪০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৬০০-৮০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ১৮০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি আলু ১৪-১৫ ও লাল আলু ২০-২২ টাকা, বেগুন ৩০-৩৫ টাকা,শালগম ২৫-৩০ টাকা, করলা ৪০-৪৫ টাকা, শিম প্রকার ভেদে ৩২-৪০ টাকা, টমেটো ২০-২৪ টাকা, গাজর ২০ টাকা, মূলা ১৫-২০ টাকা, শশা ২০-২২ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিচ ১৫-২০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০-৭০ টাকা, মটরশুটি ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০-২৮ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকাদরে বিক্রি করছে।
প্রতি আঁটি লাউ শাক ১৫ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ১৫ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ প্রকার বেধে কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩২-৩৬ টাকা, দেশি রসুন কেজি প্রতি ৯৫ টাকা, মোটা রসুন ৮৫-৯০ টাকা ও এক দানা রসুন ১৬০ টাকা, আদা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখন পেঁয়াজের মৌসুম। বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় পেঁয়াজের দাম কমেছে।