সীমান্ত ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা উদ্বোধন ঈদের পর

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৯  সেপ্টেম্বর   ২০১৬

সীমান্ত ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা উদ্বোধন ঈদের পর

সীমান্ত ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা উদ্বোধন ঈদের পর

ঈদের পরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পরিচালিত ‘সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড’ এর প্রিন্সিপাল শাখা উদ্বোধন হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের ৬টি স্থানে শাখা চালু করবে ব্যাংকটি। বেসরকারি ব্যাংকে যেসব সুযোগ-সুবিধা গ্রাহকদের দেয়া হচ্ছে, এরই সবই থাকবে সীমান্ত ব্যাংকেও।

গত ১ সেপ্টেম্বর তফসিলি ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যাংকটির মালিকানায় রয়েছে বিজিবি কল্যাণ ট্রাস্ট।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত এবং ১০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে গঠিত সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে গত ১০ অগাস্ট গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ তৈরি হলো।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার ঝিগাতলায় সীমান্ত স্কয়ারের কাছে নির্মিত নতুন ভবনে সীমান্ত ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিটিংয়ে। মিটিং শেষে আবার ট্রেনিং সেশন। এখনো কর্পোরেট কাজ শুরু করা না হলেও অ্যাডমিনেসট্রেটিভ কাজ সবই এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর ট্রেনিং সেশনই বেশি চলবে। ঈদের পর প্রিন্সিপাল শাখার উদ্বোধন। এ বছরই খুলনা, সিলেট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহসহ ছয়টি স্থানে সীমান্ত ব্যাংকের শাখা খোলা হবে। আর আগামী বছরের মধ্যে আরও ২০টি শাখা খোলা হবে।

ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এনআরবি ব্যাংকের থেকে আসা এমডি মোখলেছুর রহমান। পদাধিকারবলে এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হবেন বিজিবির মহাপরিচালক। সেনাবাহিনী পরিচালিত ট্রাস্ট ব্যাংকের আদলে নতুন এই ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এই ব্যাংকে চাকরির ক্ষেত্রে বিজিবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন। ঋণের ক্ষেত্রেও তারা বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ ব্যাংকের আয় বিজিবির মুক্তিযোদ্ধা সদস্য, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

এ ব্যাংক সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, পেনশন স্কিম, গৃহনির্মাণ ঋণ, দুরারোগ্য রোগের জন্য দেশে-বিদেশে চিকিৎসা সহায়তা, কৃষি ঋণ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মত বহুবিধ খাতে ঋণ সহায়তা দেবে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দিতে পারবে এই ব্যাংক।

সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানান। পরে ব্যাংকটির চিফ অপারেটিং অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ও বিবৃতি দেবেন এমডি। ঈদের পর ব্যাংকটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা যাবে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা জানান, বিজিবির মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি হজ পালনে সৌদি আরবে রয়েছেন।

 

Related posts