শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৪ নভেম্বর ২০১৬
স্বাশ্রয়ী ভাড়া ও উন্নত সেবা দিয়ে আকাশপথে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নিয়েছে এশিয়ার অন্যতম বিমান সংস্থা এয়ার এশিয়া। সময় ও চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে একের পর এক নতুন রুটে উড়ছে এয়ার এশিয়া। অগ্রগামী অত্যাধুনিক মডেলের এয়ারক্রাফটের সঙ্গে এয়ার এশিয়ার বাড়ছে রুট ও এয়ারক্রাফটের সংখ্যা। সম্প্রতি এয়ার এশিয়ার বহরে এবার যুক্ত হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এয়ারক্রাফট এ-৩২০এনইও। বাংলাদেশি যাত্রীদের সুবিধার্থে কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটেও চলবে এই সুপরিসর আধুনিক এয়ারক্রাপ্ট।
জানা গেছে, মেলবোর্ন, সিডনি, গোল্ড কোস্ট, চীন, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের মোট ১২৯টি গন্তব্যে বিচরণ করে এয়ার এশিয়া। উন্নত যাত্রীসেবার পাশাপাশি সবচে কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করায় এই চাপ বলে মনে করছেন এয়ার এশিয়ার জিএসএ (জেনারেল সেলস এজেন্ট) টোটাল এয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চাকলাদার।
তিনি জানান, উন্নত যাত্রীসেবার বিষয়ে এয়ার এশিয়া শুরু থেকেই কোনো কম্প্রোমাইজ করেনি। মানসম্মত সেবার পাশাপাশি মালয়েশিয়া প্রবাসীরা কতটা কম খরচে দেশে আসা-যাওয়া করতে পারে সে বিষয়টিতে বেশি নজর দিয়েছি আমরা। বাজেট এয়ারের ভ্রমণ সাশ্রয়ী করতে বেশ কিছু বিষয়ে উপেক্ষা করা হয়। এতে কেউ কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করলেও বাস্তবতা হচ্ছে বাজেট এয়ার মানেই হচ্ছে মুখ্য বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া। যে কারণে ভাড়া কমানোই তার প্রধান লক্ষ্য থাকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি যাত্রীরা মালয়েশিয়া থেকে কানেক্টিং ফ্লাইটে বিশ্বের ১২৯টিরও বেশি গন্তব্যে সাশ্রয়ী ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারছেন। উদাহরণ হিসেবে চাকলাদার বলেন, ঢাকা-সিডনি-ঢাকা রুটে রিটার্ন টিকিট ৬৮ হাজার টাকা। যেখানে অন্য এয়ারলাইন্সগুলো এই রুটে রিটার্ন টিকিট বিক্রি করেছে এক লাখ টাকার উপরে।
বর্তমানে এয়ার এশিয়ার বাংলাদেশ জিএসএ টোটাল এয়ার সার্ভিসেসের মাধ্যমে ঢাকা থেকে কুয়ালালমপুর, মরিশাস, সাউথ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ব্যাংকক, অস্ট্রেলিয়াসহ ২৩টি গন্তব্যে ফ্লাই থ্রু সার্ভিস দিচ্ছে। সারাবিশ্বে এয়ার এশিয়া ১৩২টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।
এয়ার এশিয়ার বহরে নতুন প্রজন্মের এয়ারবাসের সংযোজন বিষয়ে টোটাল এয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) ও ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশের যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে নিকট ভবিষ্যতে বিশ্বের সর্বৃবহৎ এয়ারক্রাফট এ-৩২০এনইও চলাচল করবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বেশ কয়েকটি রুটে সাশ্রয়ী ভাড়ায় এয়ার এশিয়া ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এতে করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন সহজেই। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান ও সাশ্রয়ী ভাড়ায় ভ্রমণের সুযোগ প্রদানই আমাদের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, এয়ার এশিয়ার বহরে বর্তমানে ১৮০ আসনের ১৫০টি এয়ারবাস এ ৩২০ উড়োজাহাজ রয়েছে; যেগুলো দিয়ে ছোট ও মাঝারি গন্তব্যের ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। আর ৫ ঘণ্টার অধিক যাত্রার জন্য এয়ারলাইনসটির বহরে ৩৭৭ আসনের ১৫টি এয়ারবাস এ ৩৩০ উড়োজাহাজ রয়েছে।
এছাড়া বিশ্বের সর্বৃবহৎ এয়ারক্রাফট এ-৩২০এনইওসহ আরো ২০০টি বিভিন্ন মডেলের এয়ারবাস উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় রয়েছে; যা পর্যায়ক্রমে এয়ার এশিয়ার বহরে যুক্ত হবে।