মেয়রের কাছে হকারদের ১০ দাবি

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৬  জানুয়ারি  ২০১৭

মেয়রের কাছে হকারদের ১০ দাবি

মেয়রের কাছে হকারদের ১০ দাবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গুলিস্তান, মতিঝিল ও রমনা এলাকায় হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে মেয়র সাঈদ খোকনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।

সোমবার দুপুরে নগর ভবনে সংগঠনের সভাপতি আবুল হাসেম কবীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মেয়রের সঙ্গে দেখা করে ১০ দফা দাবি জানান।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ চলবে না। হকারদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই। চাঁদাবাজী বন্ধ করতে হবে। হকারদের উপর দমন পীড়ন নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত হকারদের তালিকাভুক্তিকরণসহ আইডি কার্ড দিতে হবে। দখলকৃত সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে হকারদের পুর্বাসন করতে হবে। হকারদের ট্যাক্সেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। হকারদের পুনর্বাসনের জন্য ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। জাতীয় বাজেটে হকারদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের আওতায় হকারদের বসার ব্যবস্থা করতে হবে।

পরে মেয়র হকার নেতাদের জানান, সিটি কর্পোরেশন তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। তাদের ফুটপাত দখল ছাড়তেই হবে। যে কোনো ভাবে ডিএসসিসি ফুটপাত অবৈধ দখল মুক্ত করবে।

মেয়র বলেন, রাজনৈতিক নামধারী কেউ যদি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফুটপাত দখল করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।

কোনো রাজনৈতিক কারণে এ সিদ্ধান্ত থেকে সিটি কর্পোরেশন সরে আসবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি এ শহরে হঠাৎ করে এসে রাজনীতিতে আসিনি। এ শহরে অনেক রাজনৈতিক আন্দোলনে আমার অংশগ্রহণ রয়েছে। আমার রাজনৈতিক বয়স প্রায় ২০ বছর। রাজনীতি করতে গিয়ে বহুবার জেল খেটেছি। অনেক মামলার আসামি হয়েছি। আমি জনগণের অনুভূতি ভালো করেই বুঝি। আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা বাস্তবায়ন করবো। আমরা যে কোনো ধরণের স্থাপনা উচ্ছেদ করবো। জনগণের মঙ্গলের জন্য যা যা করার দরকার তা করবো।

সাঈদ খোকন বলেন,  ফুটপাতে যে কোনো ধরনের স্থাপনা থাকলে তা উচ্ছেদ করবো। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। জনগণের জন্য যা যা করা দরকার তাই করবো। রাজনৈতিক নামধারী গুটি কয়েক যক্তি যদি জনগণের পথে বাধা সৃষ্টি করে তা করতে দেয়া হবে না।

নগরীতে অবৈধ কার পার্কিং প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, হকার উচ্ছেদ শেষে আমরা ইয়েস পার্কিং এবং নো পার্কিং চালু করবো। এরই মধ্যে ডিএমপির সঙ্গে কথা বলেছি। একটা একটা করে সমাধান করা হবে। বাস লেগুনার নামে নগরীতে যা হচ্ছে এটা মেনে নেয়ার মতো নয়। নগরীতে শঙ্খলা আসতেই হবে।

 

Related posts