শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৮ জুন ২০১৬
১৪ বছর ধরেই ভারতীয় পুলিশ তাকে খুঁজছিল বেশ কয়েকটা ফৌজদারি মামলার দায়ে। কিন্ত তিনি হঠাৎই লাপাত্তা হয়ে যান।
বছর দশেক আগে তার স্ত্রী থানায় নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ডায়েরি করেছিলেন। অভিযোগ জানানো হয়েছিল যে কেউ হয়ত তাকে অপহরণ করেছে।
কিন্তু সেই ‘তিনি’ যে বাড়িতে ছিলেন, সেটা বুঝতে পুলিশের ১৪ বছর লেগে গেল।
আসলে তিনি তো ঠিক বাড়িতে ছিলেন না। মাটির নিচে জলের ট্যাঙ্কে থাকতেন তিনি!
ভারতের রাজস্থান রাজ্যের বিকানেরের পুলিশ জলের ট্যাঙ্ক থেকেই গ্রেপ্তার করেছে তাকে।
দুষ্কৃতির নাম উদারাম মেঘওয়াল।
বহু খুঁজেও যে কেন পাওয়া যায় নি তাকে, সেটা ধরা পড়ার পড়ে নিজেই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন উদারাম।
ছাতারগড় থানার অফিসার হংসরাজ লুনা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘উদারাম বলছেন তিনি দিনের বেলায় মাটির নিচের জলের ট্যাঙ্কে থাকতেন, আর রাতে ঘরে ঢুকে যেতেন। ট্যাঙ্কের মধ্যেই থাকার ঘরও বানিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। আমরা সেজন্যই বার বার তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও ধরতে পারতাম না তাকে।’
ধরা পড়ার দিনও উদারামের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল। তাদের কাছে খবর ছিল যে তিনি বাড়িতেই আছেন। তবুও পাওয়া যায়নি।
শেষমেষ জলের ট্যাঙ্কের দিকে নজর পড়ে পুলিশের। সেখানে নিজের থাকার ঘরেই লুকিয়ে ছিলেন উদারাম।
১৪ বছরের ট্যাঙ্ক-বাস অথবা পাতাল বাস শেষ হয়েছে উদারামের!
পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে।