‘ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের নাজুক পরিস্থিতি বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৪  জুন  ২০১৬

‘ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের নাজুক পরিস্থিতি বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’

‘ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের নাজুক পরিস্থিতি বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’

ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের বর্তমানে নাজুক পরিস্থিতি বাজেট বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

শুক্রবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭ : সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘৭ দশমিক ২ শতাংশ হারে জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে অতিরিক্ত ৬০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ লাগবে। বর্তমানে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে যে নাজুক পরিস্থিতি তাতে করে বাজেটের প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রস্তাব করেছে। কিন্তু এ টাকা কিভাবে খরচ করা হবে তা বাজেটে পরিষ্কার করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সামরিক খাতে বাজেট জিডিপির ১ দশমিক ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বাজেট ছাড়াও সামরিক খাতে আরও কিছু ব্যয় হয় সেটা অর্থনৈতিক কাঠামোয় নিয়ে আসা উচিত। বড় বড় প্রকল্পে পর্যাপ্ত বরাদ্দ করা হয়নি। সরকার উচ্চ সুদে বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। অথচ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে করলে এ ব্যয় আরও কম হতো।’

সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘বাজেটে কম আয়ের থেকে বেশি আয়ের ব্যক্তির কর ও কর রেয়াতের বৈষম্য লক্ষ্যণীয়। ১০ লাখ টাকার উপজর্নকারী কর বেড়েছে ৩২ শতাংশ আর সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা উপজর্নকারীর জন্য কর বেড়েছে ১৩ শতাংশ।’

‘সব ধরনের রপ্তানি খাতে সমান সুযোগ দেওয়া আমদানি ও রপ্তানি শুল্কের পরিমাণ বাস্ততসম্মত নয়’, যোগ করেন তিনি।

তবে এই বাজেটকে উচ্চাবিলাসী বলে মনে করেন না এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। একই সঙ্গে বড় অংশের রাজস্ব আদায়ের সুযোগ বাড়ছে। সেই সাপেক্ষে বাজেটের আকার বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তাই এটা নিয়ে খুব বেশি উচ্ছ্বাসের কিছু নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ, নতুন কর্মসংস্থান তৈরিসহ অনেক খাতেই কোনো ইতিবাচক পরিকল্পনা নেই। এতে বাজেট বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।

সিপিডির বাজেট প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেন হোসেন, রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

 

 

Related posts