পোশাক শ্রমিকরা ষড়যন্ত্রের শিকার : বিজিএমইএ

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২৪  ডিসেম্বর  ২০১৬

পোশাক শ্রমিকরা ষড়যন্ত্রের শিকার : বিজিএমইএ

পোশাক শ্রমিকরা ষড়যন্ত্রের শিকার : বিজিএমইএ

পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, পোশাক শিল্পকে ধ্বংসের জন্য কিছু লোক সব সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে আশুলিয়ার শ্রমিক আন্দোলনও সেই ষড়যন্ত্রের একটা অংশ।

শনিবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে ‘চেঞ্জিং জেন্ডার নর্মস অব গার্মেন্টস এমপ্লয়েস’ শীর্ষক দুই বছর মেয়াদী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শ্রমিক আমাদের, সুতরাং তাদের সুখ-দুঃখের দিকে খেয়াল রাখাও আমাদের কর্তব্য। তাদের প্রতি আমাদের চেয়ে অন্য কেউ বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার কথা না। তবু অনেকেই নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য লোক দেখানো মায়া কান্না করে।

জিডিপি অর্জনে শ্রমিকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক খাত থেকে যে জিডিপি অর্জিত হয়, তার পেছনে সব থেকে বেশি অবদান এ খাতের ৪০ লাখ শ্রমিকের। যারা এসব শ্রমিকদের বিভ্রান্তিমূলক কজে লেলিয়ে দিচ্ছেন- তারা কত বড় ভুল করছেন সে ব্যাপারে তাদের কোনো ধারণা নেই।

শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা অন্যের দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজে ফিরে আসুন। আপনাদের জন্য কারখানা খুলে দেয়া হবে। তাতে দেশ, আপনারা এবং আমরা সবাই উপকৃত হবো।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফান্ডের (ইউএনএফপিএ) সহায়তায় প্রকল্পটি ২০১৪ সালের অক্টোবরে শুরু হয়। আশুলিয়া, সাভার ও গাজীপুরে ২৪টি, নারায়নগঞ্জে ৮টি এবং চট্টগ্রামে ৮টিসহ মোট ৪০টি পোশাক শিল্প কারখানায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে নারীর প্রতি আচরণ পরিবর্তন ও সব শ্রমিকের সমন্বয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সবাইকে সচেতন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। মূলত প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার মাধ্যমে একটি শুভ সূচনা হবে। এই প্রকল্প আমাদের যা দিয়েছে তা শুধু ৪০টি কারখানায় সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, দেশের সব কারখানায় ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক মহসিন উদ্দিন আহমেদ, উপ-পরিচালক জগলুল হায়দার, ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি রুমানা পারভিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Related posts