ঢাকা কাস্টমস রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম।  ১ আগস্ট ২০১৬

 

ঢাকা কাস্টমস রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

ঢাকা কাস্টমস রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে ঢাকা (পশ্চিম) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট।

রোববার কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানান ঢাকা পশ্চিম কাস্টমসের কমিশনার মো. মতিউর রহমান। প্রেস ব্রিফিংয়ে শুরুতে পুরো বিষয়টা নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন যুগ্ম-কমিশনার শামীম আরা বেগম।

এছাড়া, সভাকক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত কমিশনার ফয়সাল মুরাদ, উপ-কমিশনার নির্জর আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তারা।

যুগ্ম-কমিশনার শামীম আরা বেগম  জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ কমিশনারেটের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা, যার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে মোট ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা। যা ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৫ শতাংশ।

গত বছর থেকে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি শুরু হয় উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ‘নিয়ম মোতাবেক প্রতিবছরের রিপোর্ট প্রকাশ করতে হয়, তারই প্রক্রিয়ায় আজকে সংবাদ সম্মেলন।’

জোর করে নয় বরং সমঝোতার মাধ্যমে ভ্যাট আদায়ের পলিসি নেয়া হয়েছে বলে জানান মতিউর রহমান।

তিনি বলেন, ‘ধরুন কোনো প্রতিষ্ঠান ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আমাদের কম টাকা দিচ্ছে। কিন্তু অভিযান পরিচালনা করা বা মালামাল জব্দ করে টাকা আদায়ে আমরা বিশ্বাসী না। আমাদের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন। বুঝিয়ে তারপর ভ্যাট আদায় করা হয়। যা শুরুতে ২০ হাজার টাকা হলে পরবর্তীতে বেড়ে ৬০ হাজার হয়।’

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্য শুরুতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত রাজস্ব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করে মামলা করা হয়েছে। এগুলো দেখে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এমনিতেই ঠিক হয়ে গেছে জানান কমিশনার।

নিজের কর্মক্ষেত্রে তিনি লক্ষ্য অর্জনে কখনো ব্যর্থ হননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি যেখানেই কাজ করি না কেন, কোথাও লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হইনি। আমার সহকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগিতার কারণেই এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।’

২০১১ সালে ঢাকা (পশ্চিম) কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চালুর পর থেকে লক্ষ্য অর্জনে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১১-২০১২ অর্থবছরে ৬০২ কোটি, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৭৩১ কোটি, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ৭৯৬ কোটি, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। যা প্রবৃদ্ধির হিসেবে দাঁড়ায় শতকরা ৪৫ ভাগ।

 

 

Related posts