শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১২ মার্চ ২০১৭
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন পুরান ঢাকার সব কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে লালবাগ শহীদনগর এলাকায় কেমিক্যাল কারখানার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার উদ্বোধন শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) কর্নেল এ কে এম শাকিল নেওয়াজ প্রমুখ।
এ অভিযানে ডিএসসিসি’র সাথে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তর,বিস্ফোরক অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, ডিএমপি’র প্রতিনিধিগন অংশগ্রহন করেন।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, কে কীভাবে, কী ব্যবসা করবে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। যে কোনো মূল্যে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নিতে হবে। যে যত বড়ই হোক কেন, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তালিকা অনুযায়ী কেমিক্যাল কারখানা ও গোডাউন মিলে প্রায় হাজার খানেক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানাকে অন্যত্রে সরিয়ে নিতে হবে। কোথায় নেবে, কী করবে এটা যারা বিনিয়োগ করেছে, ব্যবসা করছেন তারা দেখবেন। আমরা আগে থেকেই নোটিশ দিয়েছি, যেসব কারখানা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, সেসব কারখানা সরিয়ে নিতে হবে। এ এলাকায় অন্য কোন কেমিক্যাল কারখানার অনুমোদন না দেয়ার ঘোষনা দেন মেয়র। ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিষ্ফোরক অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে পুরনো ঢাকার আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল কারখানার জন্য ছাড়পত্র না দেয়ার অনুরোধ জানান।
মেয়র বলেন, যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন এটা নিয়ে সবাই তৎপর হয়ে ওঠে। এরপর সবাই তা ভুলে যায়। পুরানো ঢাকায় অসংখ্য কেমিক্যাল কারখানা রয়েছে।প্রায়ই এসব কারখানা থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। নিমতলীর দুঘটনার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন এরকম ঘটনা বারবার চলতে দেওয়া যায় না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, নগরীতে কেমিক্যাল কারখানার হুমকিমুক্ত তথা জননিরাপত্তা স্থিতিশীল না হওয়া পযন্ত শহীদনগর, নিমতলী, আগামসি লেন, ইসলামবাগ, চকবাজারসহ যেসব এলাকায় কেমিক্যাল কারখানা রয়েছে সেসব এলাকায় ৩টি টিম একযোগে কাজ করবে।
রাজধানীর ফুটপাত হকারমুক্তকরণ, অবৈধ ২০ বছরের বাস, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ কাগজপত্রবিহিন গাড়ীর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। নগরবাসীর জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনাসহ বাসযোগ্য নগরী গড়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অগ্নি নির্বাপণ আইনের শর্ত ভঙ্গ করায় পরে ইউনিক পলিমার কেমিক্যাল কারখানাকে দুইলাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারখানার মালিক আব্দুল করিম ছেন্টু অভিযানের সময় উপস্থিত না থাকায় শ্রমিক কুবাত আলীকে টাকা অনাআদায়ে ৬ মাসের জেল দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক উন নবী তালুকদার। ইউনিক পলিমার কারখানায় জুতার আঠা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় দাহ্য পদার্থ। অভিযানে কারখানায় থেকে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ জব্দ করা হয়েছে।