গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছেঃ প্রধানমন্ত্রী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ৯  মার্চ  ২০১৭

দেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশের এতো উন্নয়ন হচ্ছে। অনেকে বলেন শুধু উন্নয়ন করলে হবে না, গণতন্ত্র থাকতে হবে। দেশে এতো উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরও যারা কিছুই দেখতে পান না তারা আসলে কি চায়? কাদের মুখে আমরা গণতন্ত্রের কথা শুনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাকসহ অন্য এনজিওর দাবি নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নয়, দেশে দ্রুত গতিতে দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে সরকারের গৃহীত ১৪২টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে। একটি ব্যাংকসহ প্রায় আড়াই হাজার এনজিও আছে, তারা ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দেশে কতভাগ দারিদ্র্য বিমোচন করেছে? তারা ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন করেছে নাকি যারা এর ব্যবসা করেন তারাই ধনশালী ও সম্পদশালী হয়েছে- এ বিষয়ে গবেষণা করা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাক নাকি প্রতিবছর এক ভাগ হারে দারিদ্র্য কমাচ্ছে! গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৮৫ সালে, আর ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৮২ সালে। এ দুটি সংস্থা দুই ভাগ হারে বছরে দারিদ্র্য দূর করে, তবে এই ৪৫ বছরে দেশে তো দারিদ্র্যতাই থাকা উচিত নয়। দেশ অনেকে আগেই দারিদ্র্য একেবারে শূন্য হয়ে যাওয়া উচিত। তবে গেল না কেন?

দেশে কোনো সরকারের আমলে কতহারে দারিদ্র হ্রাস পেয়েছে তা নিয়ে গবেষণার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত দ্রুত দারিদ্র্য হ্রাস করেছে, অতীতের কোনো সরকার তা পারেনি।

তিনি বলেন, আমাদের দৃঢ় পদক্ষেপের ফলেই এই ৮ বছরে দেশের ৫ লাখ মানুষ নিম্ন আয় থেকে মধ্যম আয়ে উঠে এসেছে। বাংলাদেশকে আর হাত পেতে বা ভিক্ষা নিয়ে চলতে হয় না। আমরা প্রায় ৯০ ভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করি নিজেদের অর্থায়নে। পদ্মা সেতুতেও আমরা তা প্রমাণ করেছি। তাই যে যতই কথাই বলুক না কেন, এনজিওগুলো একভাগ হারে দারিদ্র্য হ্রাসের অস্বাভাবিক দাবি মানলে তো দেশে দারিদ্র্যতাই থাকে না।

বাস্তবতা হচ্ছে দেশে দ্রুত দারিদ্র্যতা কমেছে সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আমরা ১৪২টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, দেশে খাদ্য ঘাটতি রেখে হাড্ডিসার, কঙ্কালসার মানুষকে দেখিয়ে বিদেশ থেকে ভিক্ষা এনে নিজেদের পকেট ভারি করার সুযোগ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে- এটাই যেন অনেকের ভালো লাগছে না। কারণ এরা দেশের ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ হোক তা চায় না।

 

সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু মানুষ আছে যারা উন্নয়ন দেখলেই সমালোচনা করে। যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন তাদের জরুরি অবস্থা কিংবা সামরিক স্বৈরাচার যখন আসে তখন তাদের কাছে খুব গণতান্ত্রিক মনে হয়।

তিনি বলেন, যদি ক্ষমতায় যাওয়ার উনাদের এতোই আকাঙ্ক্ষা, তাহলে তাদের রাজনীতি করলেই হয়। জনগণের কাছে গেলেই হয়। ভোটে নির্বাচিত হয়ে তারা সংসদে আসুক।

 

Related posts