ক্বিবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ার তাৎপর্য

  • শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৩০ জুলাই ২০১৬
ক্বিবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ার তাৎপর্য

ক্বিবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ার তাৎপর্য

প্রত্যেক ইবাদাত-বন্দেগিতে মুমিনের মুখ এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর দিকেই থাকে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র, পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণের বন্ধন থেকে তিনি মুক্ত। তিনি কোনো বিশেষ দিকে অবস্থান করেন না।

ফলে কোনো ইবাদাতকারী ব্যক্তি যদি যে দিকে ইচ্ছা সেদিকেই মুখ করত কিংবা একই ব্যক্তি যদি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিকে মুখ করত। তবে তাতেও স্বাভাবিক নিয়মের পরিপন্থী হতো না।

আল্লাহ কর্তৃক ক্বিবলা নির্ধারণের কারণ-

ইবাদাত-বন্দেগিতে এখন সমগ্র বিশ্বের মানুষের মুখ করার দিক কোনটি হবে; এর মীমাংসা মানুষের হাতে ছেড়ে দিলে তাও বিরাট মতনৈক্য এবং কলহের কারণ হয়ে যাবে। এ কারণে এর মীমাংসা আল্লাহর পক্ষ থেকে হওয়াই ছিল বিধেয়। যা আল্লাহ তাআলা বাইতুল্লাহকে ক্বিবলা নির্ধারণ করে দিয়ে মুসলিম উম্মাহর প্রতি মহা অনুগ্রহ করেছেন।

কিবলামুখী হওয়ার তাৎপর্য-

কিন্তু অপার একটি রহস্যের কারণে সমস্ত ইবাদাতকারীর মুখ একদিকে করা হয়েছে। তা হলো- সমষ্টিগত ইবাদাত নামাজে ঐক্য সৃষ্টি করা। এ উদ্দেশ্যে বিশ্ববাসীর মুখমণ্ডল একই দিকে নিবদ্ধ থাকা। এটি একটি উত্তম, সহজ ও স্বাভাবিক ঐক্য পদ্ধতি।

দল মত নির্বিশেষে সমগ্র মুসলিম মিল্লাতের ক্বিবলা নির্দিষ্টভাবে একদিকে নিবদ্ধ হওয়ার ফলে মুসলমানের ঐক্য ও এক আল্লাহর আনুগত্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।

 

 

 

 

Related posts