আগামীকাল ডিএসসিসির বাজেট ঘোষণা

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২৭ জুলাই ২০১৬

আগামীকাল ডিএসসিসির বাজেট ঘোষণা

আগামীকাল ডিএসসিসির বাজেট ঘোষণা

চলতি (২০১৬-১৭) অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার নগরভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ বাজেট ঘোষণা করবেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

এ বছরের বাজেট গত অর্থবছরের থেকে ১১শ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র এক হাজার কোটি টাকা। যা মোট বজেটের ৪৭ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগর ভবনের বোর্ড সভায় বাজেট পাস করার পর মেয়র সাঈদ খোকন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বাজেট ঘোষণা করবেন। নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্র বাংলামেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এ বছর বাজেটে আয়ের প্রধান উৎস্য ধরা হয়েছে বাজার সালামি, হোল্ডিং ট্যাক্স ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প। হোল্ডিং ট্যাক্স ২৫০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা দিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রাথমিকভাবে অঞ্চল-১ ও ২- এ হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অপর দিকে বাজার সালামি ১০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা। বিভিন্ন সাহায্যপুষ্ঠ প্রকল্প থেকে ১৫০০ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে। আর অন্যান্য বিভাগীয় প্রকল্প থেকে আয় ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।

হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছে সিটি করপোরেশন। সরকারের অনুমোদন পেলেই বর্ধিত ট্যাক্স কার্যকর হবে।

ডিএসসিসির রাজস্ব বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আইন অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পরপর হোল্ডিং ট্যাক্স যাবে। কিন্তু দক্ষিণ সিটিতে ১৯৮৯ সালের পর আর বাড়ানো হয়নি। এবার প্রাথমিকভাবে অভিজাত ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলো ট্যাক্স বৃদ্ধির আওতায় আসবে। এর মধ্যে অঞ্চল-১ ও অঞ্চল-২ এলাকায় অপেক্ষাকৃত ধনী লোকদের বসবাস হওয়ায় এর ট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে।

এদিকে বাজেটের আয়ের প্রধান উৎস্য ধরা হয়েছে বাজার সালামি। দক্ষিণের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর সাঈদ খোকন বেশি কিছু দোকান বরাদ্দের উদ্যোগ নেন। এবছর সেগুলো বরাদ্দ দেয়ার কথা রয়েছে। বরাদ্দের অপেক্ষায় থাকা সেসব দোকান থেকে ৬৫০ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে।

সভা সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে ২ হাজার ৮৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে মাত্র এক হাজার কোটি টাকা। আয়ের প্রধান উৎস বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প থেকে আয় কম হওয়ায় বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে বিদেশি অনুদান ১ হাজার ৬০ কোটি ৬৯ লাখের জায়গায় পাওয়া গেছে মাত্র ২৪৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। এছাড়া সরকারি অনুদান ২৭ কোটি টাকার জায়গায় মাত্র ১২ কোটি টাকা এবং সরকারি বিশেষ অনুদান ৩০০ কোটি টাকার জায়গায় ২৪১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। রাজস্ব আয়ও হয়েছে প্রায় অর্ধেক।

এবছর সরকারি ও বৈদেশিক বা পিপিপির থেকে ১৫০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। অন্যান্য আয় থেকে ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। এছাড়া প্রচলিত খাতগুলোতেও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়ায় খাতটিতে দ্বিগুণেরও বেশি খরচ বেড়েছে। এ খাতে প্রায় ১৮০ কোটি থেকে বেড়ে ধরা হয়েছে ২৩০ কোটি টাকা।

এদিকে দক্ষিণ সিটির সাথে যুক্ত হওয়া ৮ ইউনিয়নের জন্য ২০ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব খান মোহাম্মদ রেজাউল করিম বাংলামেইলকে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের বাজেটে কিছুটা পরিবর্তন থাকছে।

 

Related posts