অস্থির চামড়ার বাজার

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৫  সেপ্টেম্বর   ২০১৬

অস্থির চামড়ার বাজার

অস্থির চামড়ার বাজার

দাম আগেই নির্ধারণ করা হলেও অস্থির চামড়ার বাজার। লবণের বর্ধিত মূল্য যেন কাটা ঘায়ে নুনের চিটা। এনিয়ে চরম বিপাকে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা।

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঢাকার বাইরে যারা আছেন, তাদের অবস্থা আরও করুণ।

তাদের দাবি, ট্যানারি মালিক ও কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন মূল্যে কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা যে দামে চামড়া কিনেছেন, আড়তদারদের কাছে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে।

এ বছর সাধারণত গরুর আকার ভেদে প্রতিটি চামড়া ১১০০-১৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

রাজধানী ঢাকায় প্রতিটি চামড়া কেনা দামের চেয়ে ১০০-৪০০ টাকা কমে বিক্রি করতে হয়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। আর ঢাকার বাইরে প্রতিটি চামড়ায় ৪০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত তাদের লোকসান গুণতে হয়েছে।

রাজধানীর পোস্তা কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বড় বাজার। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা রিকশা বা ভ্যানে করে চামড়া নিয়ে এলেই দৌড়ে যাচ্ছেন আড়তদারেরা। কিন্তু দাম শুনে মুষড়ে পড়ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

এদিকে সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে বিপাকে আছেন ঢাকার বাইরের মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। লবণের দাম বেশি হওয়ায় চামড়া সংরক্ষণও করতে পারছেন না, আবার এতো বেশি লোকসানে বিক্রিও করতে পারছেন না।

তবে আড়তদারদের দাবি, সরকার নির্ধারিত দামেই তারা চামড়া কিনছেন। তবে এখন লবণের দাম বেশি, শ্রমের মূল্য বেশি। সবকিছু মিলিয়ে তারা যে দামে চামড়া কিনছেন, তা ঠিকই আছে।

আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন, এ জন্য কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এখন ক্ষতি হলে মৌসুমি ব্যবসায়ীদেরই দায় নিতে হবে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ট্যানারি মালিকদের দুই সমিতি ও চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ২০১৩ সালে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছিল ৮৫-৯০ টাকা।

 

 

Related posts