শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৫ জানুয়ারি ২০১৭
গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আসলে সূত্র কোথায় তা এখনও অজানা। তবে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দাবি, শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে লাগা কোনো আগুনের কারণ উদ্ঘাটনের একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
সোমবার দিবাগত রাতে ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিটের দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা চেষ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দীর্ঘ সময়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় মার্কেটের একাংশ ধসে গেছে। পুড়ে ছাই হয়েছে ৪০০ দোকান।
আগুনের কারণ উদ্ঘাটনে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক মাসুদুর রহমানকে সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি ৭ দিনের মধ্যে আগুনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। অথচ তদন্তাধীন বিষয়ে এই আগুনের কারণ ‘উদ্ঘাটন’ করে ফেলেছে ডিএনসিসি। ডিএনসিসি মেয়রের ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
এদিকে আগুন লাগার পর থেকেই একে নাশকতা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের এই দাবি নাকচ করে ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। বৈদ্যুতিক ক্রটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক কিছুই হতে পারে। মেয়র হিসেবে এটা বলা সম্ভব নয়। তবে নাশকতা না হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ ভাগ। স্বাভাবিকভাবে এখন পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকেই আগুন লেগেছে।’
তবে এই ধারণা শুধু মেয়রের নিজেরই। কারণ আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কিছুই জানে না ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তদন্তের আগে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজিও নয় তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) বি. জে. মো. আলী আহমদ খান বলেন, ‘আগুন অনেকভাবেই লাগতে পারে। তবে আমরা আগুনের সূত্রপাত এখনও বুঝতে পারছি না। তদন্ত কমিটি কাজ করছে। ৭ দিন পর তারাই এ বিষয়টি বলতে পারবে।’
বুধবার বিকেলে ডিএনসিসি মার্কেট পরিদর্শনে এসে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের সিটি কর্পোরেশনের ‘অনুমান’ সম্পর্কে আবারও বললেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এখানে আসার আগে আমি মেয়র আনিসুল হকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন অনুমান করছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগেছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছে এটি নাশকতা। পূর্ণ তদন্তের আগে একথা বলা যাবে না। তদন্তের মাধ্যমে সব কিছু বেরিয়ে আসবে।’