শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২২ জুলাই ২০১৬
শুধু স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করলে, যাঁদের শরীরে O গ্রুপের রক্ত, নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্য গ্রুপের তুলনায় এঁদের আলসার হওয়ার সম্ভাবনা যেমন বেশি, দেখা গিয়েছে, থাইরয়েডের অসুখেও এঁরা ভোগেন। আবার শরীরে হরমোনের মাত্রাও এঁদের কম হয়। আয়োডিনের ঘাটতিও দেখা যায়। আবার এঁদের শরীর বেশি জলও ধরে রাখে। সহজেই এঁরা স্থুল হয়ে পড়েন। শরীরে দেখা দিতে পারে অবাঞ্ছিত টিউমারও।
তার পরেও, O গ্রুপের রক্তের অধিকারীরা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সমাজের নানা ক্ষেত্রে এঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে। নেতৃত্ব দেওয়ার স্বাভাবজাত ক্ষমতা রয়েছে। যে কোনও ক্ষেত্রেই এঁরা অত্যন্ত মনোযোগী। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। নানাবিধ গুণেরও সমন্বয় দেখা যায়।
অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়লে, এঁরা ভীষণ রেগে যান। অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। পাশাপাশি এঁরা অতিমাত্রায় আবেগতাড়িত। খাওয়াদাওয়া নিয়ে এঁদের মাথাব্যথা থাকে না। পর্যাপ্ত ব্যয়ামও করেন না। যে কারণে স্বাস্থ্য ভালো যায় না।
জাপানিরা কিন্তু O গ্রুপের মানুষজনকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বিশেষত, চাকরির ইন্টারভিউয়ে ব্লাড গ্রুপ O কি না, অবধারিত ভাবে এই প্রশ্নটা থাকবেই। এর কারণ, জাপানিরা মনে করেন, O গ্রুপের অধিকারীরা খুবই দায়িত্ববান হয়। কাজ ফেলে রাখা পছন্দ করেন না। যুক্তিবাদী। অগোছালো নন, পরিকল্পনা করে চলেন।
সবচেয়ে বড় কথা, এবং যেটা সবাই জানেন, এঁরা সার্বিক দাতা, আর কোনও গ্রুপের রক্তের ক্ষেত্রে এটা খাটে না। তাই শুধু রক্তের প্রয়োজনের নিরিখেই বোঝা যায় O গ্রুপের লোকজন কতখানি গুরুত্বপূর্ণ।