শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২ অক্টোবর ২০১৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৪৪টি চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২৪টির মতো চলছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা কোনো চ্যানেল করার প্রয়োজন নাই।
রোববার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদ টিভিতে সংসদ অধিবেশন ছাড়া অন্য কিছু দেখানো হয় না। সংসদ অধিবেশন ছাড়া অন্য যেকোনো সময় থাকে তখন যদি কয়েক ঘণ্টা শুধু স্পোর্টস বা উন্নয়নমূলক কিছু চালানো যায় তাহলেই হয়। কেননা ওই চ্যানেলও দেশের সবাই দেখতে পারে। সংসদ টিভিতেই স্পোর্টসের আলাদা ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এটা হলো বাস্তব কথা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি টিভি চ্যানেল বেসরকারি খাতে দিয়ে দিয়েছি। এতে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এতে বেকারত্ব হ্রাস পাবে। তাছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশে অনেক টিভি চ্যানেল আছে। তাহলে আমার দেশ পিছিয়ে থাকবে কেন।
তিনি আরও বলেন, ৯৬ সালের আগে শুধু বিটিভি ছিল। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা চ্যানেল অনুমোদন দেয়ার সাহসই করেনি। আমি সেটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তাতেই মানুষের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই আমি মনে করি আরেকটি চ্যানেল বিটিভির পক্ষে করা সম্ভব হবে না। সংসদ টিভির সঙ্গে স্পোর্টসের বিষয়টি ভাগাভাগি করতে পারে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত ৩৫ বছরে এবারই প্রথম আমি একটানা দুই সপ্তাহ’র বেশি দেশের বাইরে ছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গত ৩৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এবার নিয়ে তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছি। পয়ত্রিশ বছরে এবারই টানা ৫ দিন ছুটি নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, তারপরও প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে অফিসের দায়িত্ব পালন করেছি। কারণ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। ইন্টারনেটে অফিসের কাগজ অ্যাম্বাসিতে পৌঁছে গেছে। এ কয়েকদিনে আমি ৫১টি ফাইল নিষ্পত্তি করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার ফলে এটা করা সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশন এবং মন্ট্রিলে জিএফ সম্মেলন শেষে টানা ১৭ দিন পর দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।