শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৬ মার্চ ২০১৬
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় চরাঞ্চলের বাহেরপাড়া গুচ্ছ গ্রামের সড়ক দূর্ঘটনায় আহত শিশু তাসফিয়া আক্তারকে (৪) চিকিৎসা সেবা নিতে বাধা দেয়ায় ৩ ঘন্টা মৃত্যূর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার দিনগত রাত ৮টার দিকে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে ঘাতক ড্রাইভার মামলায় পড়তে পারে এই ভয়ে ঘাতক টেম্পুর ড্রাইভার লিটনের লোকজন গুরুতর আহত শিশুটিকে হাসপাতালে নিতে দেয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় বাড়ির পাশের রাস্তায় খেলা করতে গিয়ে টেম্পুর আঘাতে রাস্তার পাশে ছিটকে পরে গুরুতর আহত হয় উপজেলার বাহেরপাড়া গুচ্ছ গ্রামের আব্দুল সালামের ৪ বছরের মেয়ে তাসফিয়া।
রাজারবাড়ির চর নতুনবাজার হতে দিঘিরপাড় বাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসা টেম্পু তাসফিয়াকে সাজোরে ধাক্কা দিলে সে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে ওই টেম্পু চালক লিটন তার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে তাসফিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দিয়ে এলাকায় অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রায় ৩ ঘন্টা মৃত্যূর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যূ হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নিহত তাসফিয়ার বাবা আবদুল ছালামের নিজ গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। সে এখানে গুচ্ছগ্রামে একটি ঘর পেয়ে বসবাস করে আসছিলো। এখানে তার নিকটাত্মীয়-স্বজন না থাকায় ড্রাইভার লিটন মামলার ভয়ে সালমের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে নিহত শিশুটিকে চিকিৎসা নিতে দেয়নি।
এ ব্যাপরে টঙ্গীবাড়ী থানা ওসি আলমগীল হোসাইন জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় একটি বাচ্চা মারা গেছে শুনে আমি পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এলাকাটি খুব দূর্গম হওয়ায় নদী পারাপারের খেয়া না পেয়ে পুলিশ ফিরে এসেছে। সকালে আবার পুলিশ পাঠানো হবে।