শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২০ এপ্রিল ২০১৭
গরমের বিভীষিকা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ছেই। মূলত গরমের কারণেই এই হিট স্ট্রোক হয়ে থাকে। পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, রোদে বেশিক্ষণ অবস্থান করা আর একটি জায়গায় গরমের মাঝে গুটিশুটি হয়ে বসে থাকলে এই সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার কোন বয়সসীমা নেই। কোথায় কখন কিভাবে হিট স্ট্রোক হতে পারে তা আপনিও নিজে জানেন না। তাই জেনে রাখুন আপনার পাশের মানুষটির হিট স্ট্রোক হলে আপনি কি করবেন কিংবা কি করা উচিৎ।
শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে মূলত এই সমস্যাটি হয়। মূলত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেলে এই হিট স্ট্রোক হয়। যারা এই গরমে কায়িক শ্রম বেশি করেন যেমন রিক্সা চালক, কৃষক কিংবা শ্রমিক তাদের এই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। প্রচণ্ড গরমেও যে কারো হিট স্ট্রোক হতে পারে। অতিরিক্ত গরম আর তার উপর আঁটসাঁট করে পরা পোশাক আপনার হিট স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।
আপনি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন কি না তা বুঝতে পারবেন কিছু লক্ষণ দেখে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আগে আপনার প্রচুর পানি পিপাসা পাবে, কথা বলতে কষ্ট হবে। হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসবে। আপনি চারিদিক অন্ধকার দেখতে শুরু করবেন। সাথে বমিভাব, মাথাব্যাথা, ঝিমঝিম করা ইত্যাদি লক্ষণগুলো চোখে পরবে। তার সাথে আপনার ঘাম বন্ধ হয়ে যাবে। ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যাবে, নিঃশ্বাস দ্রুত নিতে শুরু করবেন, নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত গতির হবে, রক্তচাপ কমে যাবে, খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্নতা লক্ষণ চোখে পড়বে। পাশাপাশি যুক্ত হতে পারে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া।
প্রতিকার
হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের পোশাক হলে সবচেয়ে ভালো হয়। এই ক্ষেত্রে সুতি কাপড়ের প্রাধান্য বেশি। যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন।
বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা সঙ্গে ছাতা ব্যবহার করুন। বাইরে যারা কাজকর্মে ব্যস্ত থাকেন তারা মাথায় ছাতা বা মাথা ঢাকার জন্য কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল যেমন স্যালাইন, শরবত পান করুন। চা ও কফি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। বাইরের খাবার যেমন বার্গার, স্যান্ডউইচ, ঠান্ডা গোলা, পথের পাশের আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন। সঙ্গে পানির বোতল আর স্যালাইন রাখুন।