শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৪ জানুয়ারি ২০১৭
নির্মাণাধীন জয়দেবপুর-এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক প্রকল্পের জন্য ৫০টি নতুন গাড়ি চেয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ গাড়ি চাওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন জয়দেবপুর-এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক প্রকল্পের জন্য ৫০টি নতুন গাড়ি চাওয়া হয়েছে। এ সময় অর্থমন্ত্রী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ক্যা্ডার শক্তির তথ্য জানতে চান। এ সময় বলা হয় মন্ত্রণালয়ের ক্যাডার শক্তি ৬৫৬ জন। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্পসহ মন্ত্রণালয়ের গাড়ির সংখ্যা ৬৬২ টি।
এ সময় গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি অনুশাসন তুলে ধরে বলা হয়, যাদের গাড়ির সংখ্য ১০০-১৫০টি তারা নতুন গাড়ি কিনতে পারবে না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, প্রকল্পের বেশিরভাগ গাড়িই ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। ওইসব গাড়ি বাদ দিয়ে নতুন গাড়ি সংগ্রহ করতে চায় মন্ত্রণালয়।
এক্ষেত্রে একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় গাড়ি কিনতে পারবে, তবে তা অবশ্যই ডোনার ফান্ড থেকে কিনতে হবে।
এদিকে পদ্মা সেতুর পশ্চিম পাড়ে ভাংগা পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার চার লেন বিশিষ্ট লিংক রোড নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ম অনুযায়ী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উপস্থাপনের পরামর্শ দেয়া হয়। এ ছাড়া বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের জন্য বৈঠকে ২১ কোটি টাকা চাওয়া হয়।
বৈঠকে বলা হয়, বিআরটিসি একটি কর্পোরেশন। তাদের আয় থেকে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। নতুন পে স্কেল ঘোষণার পর তাদেরও ব্যয় বেড়েছে। এ অবস্থায় সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সুদমুক্ত ২১ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সংস্থাটিকে আগামী দুই বছরের মধ্যে ঋণের এ টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে তারা ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবে তার একটি বিজনেস প্ল্যান অর্থ বিভাগে জমা দিতে হবে।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এন সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।