শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
একজন সুস্থ সবল মানুষের জন্য নিয়মিত রক্তদানের প্রধান পূর্বশর্ত হল-”স্বদিচ্ছা”। এছাড়াও স্বেচ্ছায় রক্তদানের ক্ষেত্রে সাধারন শারীরিক যোগ্যতাগুলো হচ্ছে:-
– রক্ত দাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
– রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, ব্লাড প্রেসার এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।
– শারীরিক ওজনঃ মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৭ কেজি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি বা এর বেশি হতে হবে।
– স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে পুরুষরা বছরে ৪ বার এবং নারীরা বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার রক্তদান করতে পারবেন।
– জ্বর, সর্দি, কাশি সুস্থ্য হবার কমপক্ষে ১ সপ্তাহ্ পর রক্তদান করা যাবে।
– বিগত ৬ মাসের মধ্যে যদি আপনার বড় কোন অপারেশন না হয়ে থাকে।
– টাইফয়েড থেকে সুস্থ হওয়ার ১২ মাস পর, ম্যলেরিয়ার ৩ মাস পর এবং দাঁত তোলার ১৫ দিনে পর রক্ত-দান করা যাবে।
– কোন প্রকার টিকা গ্রহণ করলে ২৮ দিন পর এবং এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করার ৭ দিন পর নিরাপদে রক্তদান করতে পারবেন।
যারা রক্তদান করতে পারবেন নাঃ
– হাত ও বাহুতে প্রফেশনাল ব্লাড ডোনার বা নেশা জাতীয় ইনজেকশন প্রয়োগজনিত স্কার মার্ক এবং চর্মে এরূপ স্কার মার্ক বা কোনো ছিদ্র থাকলে।
– রক্তবাহিত রোগ, যেমনঃ টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, জন্ডিস, মৃগীরোগ, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস, এইডস; শ্বাসযন্ত্রে প্রদাহজনিত রোগ, যেমনঃ যক্ষ্মা, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি; এছাড়াও কোনো ইনফেকশন, চর্মরোগ, হৃদরোগ, ডায়বেটিকস এবং বাতজ্বর থাকলে রক্তদান করা যাবে না।
– নারীদের ক্ষেত্রেঃ গর্ভাবস্থায়, যাদের গত ছয় মাসের মধ্যে অ্যাবরশন হয়েছে, স্তন্যদুগ্ধদানকারী মা (এক বছর পর্যন্ত), এবং ঋতুস্রাব চলাকালিন সময় রক্ত দিতে পারবেন না।
দেহে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ জানার উপায়ঃ
ধরা যাক একজন মানুষের ওজন ৫০ কেজি। তার শরীরে কতটুকু উদ্বৃত্ত রক্ত আছে তা বের করা খুবই সহজ।
একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রতি কেজিতে সাধারণত ৭৬ মি.লি. রক্ত থাকে। এর মধ্যে শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজন হয় ৫০ মি.লি.। অবশিষ্ট ২৬ মি.লি. থাকে উদ্বৃত্ত হিসেবে। শরীরের কোথাও কেটে রক্ত বের হলে তা উদ্বৃত্ত থেকেপূরণ হয়।
তাহলে একজন ব্যক্তির ওজন ৫০ কেজি হলে তার শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ (২৬x৫০)= ১৩০০ মি.লি.।
আপনি চাইলেই এ উদ্বৃত্ত থেকে কাউকে রক্তদান করে জীবন বাঁচাতে পারেন। একজন মানুষের শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয় ৪০০-৪৫০ মি.লি.।।