সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রশিক্ষণ ও চাকরি প্রদানে সরকারি উদ্যোগ

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২০ সালের মধ্যে ৫ লক্ষ জনশক্তিকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও চাকরি প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ পরিচালিত ‘স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইপ)’ আয়োজিত ঢাকায় অনুষ্ঠিত আজ এক কর্মশালায় উপস্থিত উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ এ তথ্য উল্লেখ করেন।
সেইপ কর্মসূচির মাধ্যমে ২০১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দুই লক্ষ ষাট হাজার এবং ২০২০ সালের মধ্যে পাঁচ লক্ষ জনশক্তির কমপক্ষে ৭০ শতাংশের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে, যাদের মধ্যে ৩০ শতাংশ নারী এবং এক লক্ষ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী। ইতোমধ্যে এক লক্ষ জনশক্তিকে বিভিন্ন ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সেইপ কর্মসূচির সুবিধাসমূহ অবহিত করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং চাকরিতে প্রবেশ করায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সেইপ-এর একটি সোস্যাল মার্কেটিং কৌশলপত্রের খসড়া প্রণীত হয়েছে। স্ট্র্যাটেজি তৈরির অংশ হিসেবে সেইপ, পায়াকট্ বাংলাদেশের সহায়তায় এই কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয় ।
অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং সেইপ-এর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক জালাল আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেইপের নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন সেইপের জেন্ডার অ্যান্ড স্যোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট (যুগ্ম-সচিব) সত্যজিৎ কর্মকার, সেইপ-এর সহযোগী সংস্থা পায়াক্ট বাংলাদেশের পরিচালক আবু ইউসুফ চৌধুরী এবং ‘ভোট-অব থ্যাংকন্স’ প্রদান করেন সংস্থার উপ-পরিচালক মিজ জৈতা শাহা পিউ। সোস্যাল মার্কেটিং কৌশলপত্রের খসড়া উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. আহমদ উল্ল্যাহ মিয়া এবং ড. অলিউর রহমান।
প্রধান অতিথি জালাল আহমেদ বলেন, সেইপ ৩৪টি সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ১১টি শিল্প সংগঠন, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষিত জনশক্তির একটি বড় অংশ, যাতে বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি পায়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে, নির্মাণ শিল্পে প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের বিনা খরচে বিদেশে চাকরি প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নের পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নারী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, যেমন- ক্ষদ্র নৃ-গোষ্ঠী, চর, হাওর-বাওরসহ দুর্গম এলাকার মানুষ, সদ্য বিলুপ্ত সিটমহলের বাসিন্দা এবং প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেইপের প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রক্ষিণার্থীদের ভাতা দেয়া হয়। পাশাপাশি, সুবিধাবঞ্চিত প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণে উৎসাহিত করার জন্য ভাতার পাশাপাশি বিশেষ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
নয়টি অগ্রাধিকার খাত, যেমন- তৈরি পোশাকশিল্প ও টেক্সটাইল, নির্মাণ শিল্প, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া ও পাদুকাশিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, অ্যাগ্রো শিল্প, পর্যটন শিল্প এবং নার্সিং অ্যান্ড হেলথ টেকনোলজির ওপর সেইপের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় ।
প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং যাদের বয়স কমপক্ষে ১৫ বছর, তারা তাদের পছন্দের বিষয়ে এরূপ প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। প্রশিক্ষণের ধরন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শিল্প কারখানার চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত অভিজ্ঞ জনশক্তিকে পূর্ব-অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সার্টিফিকেট প্রদান করায় প্রশিক্ষণের গুণগতমান বজায় থাকছে এবং দেসুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রশিক্ষণ ও চাকরি প্রদানে সরকারি উদ্যোগ
ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ (বাসস): সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২০ সালের মধ্যে ৫ লক্ষ জনশক্তিকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও চাকরি প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ পরিচালিত ‘স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইপ)’ আয়োজিত ঢাকায় অনুষ্ঠিত আজ এক কর্মশালায় উপস্থিত উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ এ তথ্য উল্লেখ করেন।
সেইপ কর্মসূচির মাধ্যমে ২০১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দুই লক্ষ ষাট হাজার এবং ২০২০ সালের মধ্যে পাঁচ লক্ষ জনশক্তির কমপক্ষে ৭০ শতাংশের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে, যাদের মধ্যে ৩০ শতাংশ নারী এবং এক লক্ষ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী। ইতোমধ্যে এক লক্ষ জনশক্তিকে বিভিন্ন ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সেইপ কর্মসূচির সুবিধাসমূহ অবহিত করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং চাকরিতে প্রবেশ করায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সেইপ-এর একটি সোস্যাল মার্কেটিং কৌশলপত্রের খসড়া প্রণীত হয়েছে। স্ট্র্যাটেজি তৈরির অংশ হিসেবে সেইপ, পায়াকট্ বাংলাদেশের সহায়তায় এই কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয় ।
অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং সেইপ-এর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক জালাল আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেইপের নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন সেইপের জেন্ডার অ্যান্ড স্যোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট (যুগ্ম-সচিব) সত্যজিৎ কর্মকার, সেইপ-এর সহযোগী সংস্থা পায়াক্ট বাংলাদেশের পরিচালক আবু ইউসুফ চৌধুরী এবং ‘ভোট-অব থ্যাংকন্স’ প্রদান করেন সংস্থার উপ-পরিচালক মিজ জৈতা শাহা পিউ। সোস্যাল মার্কেটিং কৌশলপত্রের খসড়া উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. আহমদ উল্ল্যাহ মিয়া এবং ড. অলিউর রহমান।
প্রধান অতিথি জালাল আহমেদ বলেন, সেইপ ৩৪টি সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ১১টি শিল্প সংগঠন, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষিত জনশক্তির একটি বড় অংশ, যাতে বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি পায়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে, নির্মাণ শিল্পে প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের বিনা খরচে বিদেশে চাকরি প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নের পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নারী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, যেমন- ক্ষদ্র নৃ-গোষ্ঠী, চর, হাওর-বাওরসহ দুর্গম এলাকার মানুষ, সদ্য বিলুপ্ত সিটমহলের বাসিন্দা এবং প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেইপের প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রক্ষিণার্থীদের ভাতা দেয়া হয়। পাশাপাশি, সুবিধাবঞ্চিত প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণে উৎসাহিত করার জন্য ভাতার পাশাপাশি বিশেষ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
নয়টি অগ্রাধিকার খাত, যেমন- তৈরি পোশাকশিল্প ও টেক্সটাইল, নির্মাণ শিল্প, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া ও পাদুকাশিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, অ্যাগ্রো শিল্প, পর্যটন শিল্প এবং নার্সিং অ্যান্ড হেলথ টেকনোলজির ওপর সেইপের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় ।
প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং যাদের বয়স কমপক্ষে ১৫ বছর, তারা তাদের পছন্দের বিষয়ে এরূপ প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। প্রশিক্ষণের ধরন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শিল্প কারখানার চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত অভিজ্ঞ জনশক্তিকে পূর্ব-অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সার্টিফিকেট প্রদান করায় প্রশিক্ষণের গুণগতমান বজায় থাকছে এবং দেশে-বিদেশে উচ্চ বেতনে প্রশিক্ষিতদের চাকরি পেতে সুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও পিকেএসএফ প্রশিক্ষণ শেষে সহজশর্তে ঋণ দেওয়ায় উদ্যোক্তা সৃষ্টিতেও এ প্রশিক্ষণ অবদান রাখছে। শে-বিদেশে উচ্চ বেতনে প্রশিক্ষিতদের চাকরি পেতে সুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও পিকেএসএফ প্রশিক্ষণ শেষে সহজশর্তে ঋণ দেওয়ায় উদ্যোক্তা সৃষ্টিতেও এ প্রশিক্ষণ অবদান রাখছে।বাসস

 

Related posts