শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে সমঝোতাপূর্ণ সম্পর্কের ফলে সীমান্তে নিহতের সংখ্যা কমে এসেছে ।
বৃহস্পতিবার পিলখানায় বিজিবি প্রধান কার্যালয়ে সীমান্ত ব্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থানের ফলে চোরাচালান, মাদক পাচার, নারী-শিশু পাচার, সীমান্ত অপরাধ অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। যারা এসব কাজে লিপ্ত তারা প্রায়ই ধরা পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে কোনো কারণে বিএসএফের হাতে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক আটক হলে যোগাযোগের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্থল সীমানায় একদিকে মিয়ানমার, আরেক দিকে ভারত। সমস্ত জায়গায় সততার সঙ্গে সীমিত সম্পদ নিয়েও বিজিবি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।’
বিজিবিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ পাস করা হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, এর ফলে বিজিবির সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী হয়েছে। রেজিওনাল (আঞ্চলিক) সদর দফতর স্থাপন করে ‘কমান্ড’ বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে; যা বাহিনীকে গতিশীল ও সুসংগঠিত করছে। বিজিবির গোয়েন্দা সংস্থাকে আরো শক্তিশালী করে বর্ডার সিকিউরিটি ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজেই মহাপরিচালককে বলেছি, অন্তত আরো দু’খানা হেলিকপ্টার আপনাদের প্রয়োজন। আমি নিজেই প্রস্তাবটা দিয়েছি এবং বলেছি এক সঙ্গে দুটো কিনতে পারবো না, একটা একটা করে কিনবো। আমাদের এয়ার ফোর্স আছে তারা সহযোগিতা করবে। পুলিশেরও আছে তারাও সহযোগিতা করবে।’
সীমান্ত ব্যাংকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে যে সীমান্ত ব্যাংক চালু করলাম, এটা বিজিবি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান। আমি আশা করি, বিজিবি ট্রাস্ট আরো নতুন নতুন উপার্জনশীল প্রকল্প গ্রহণ করবে। তাতে এই বাহিনীর সদস্যরাই লাভবান হবেন।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সকল বাহিনীকেই আমরা একেকটা ব্যাংক করে দিয়েছি। আমাদের সেনাবাহিনী রয়েছে। আমাদের নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী চাচ্ছিল। তাদের বলেছি, যৌথভাবে করতে। তারা সে উদ্যোগটাও নিয়েছে, তাদেরটাও হয়ে যাবে। আমাদের বিজিবির জন্য প্রয়োজন ছিল করে দিলাম।’
এর আগে ফলক উন্মোচন ও অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে ব্যাংক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।